গ্রাম্য সালিশের রায় না মানায় ধর্ষণের শিকার ছাত্রী ও তার পরিবারকে পিটিয়েছে মাতব্বররা
- আপডেট সময় : ০১:৫২:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০২০
- / ১৫০৩ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীতে গ্রাম্য সালিশের রায় না মানায় ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রী ও তার পরিবারের লোকজনকে উল্টো পিটিয়েছে মাতব্বররা। আলামত উদ্ধারের পরও প্রথমে পুলিশ মামলা নেয়নি। নিরাপত্তাহীনতার কারণে ঘটনার চার দিন পর অবশেষে থানায় মামলা করেছে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী। তবে এখনো অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
রাজশাহীর পবা উপজেলার জয়পুর গ্রামের এক মাদ্রাসা ছাত্রী গেল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বাড়ির উঠানে যায় টিউবওয়েলের পানি নিতে। এ সময় তার মা, পাশের ইটভাটার পাহারাদার বৃদ্ধ বাবাকে খাবার পৌঁছে দিকে যান। এই সুযোগে একই গ্রামের শাহিনুর নামে এক ব্যক্তি গোপনে কিশোরীর ঘরে ঢুকে ওঁৎ পেতেছিল। ঘরে প্রবেশ করলে সে কিশোরীকে ধর্ষণ করে টিনের জানালা ভেঙে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর ট্রিপল নাইনে ফোন করলে পুলিশ গিয়ে ওই কিশোরীর ঘর হতে অভিযুক্ত শাহিনুরের মোবাইল ফোনও উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে আইনী কোনো প্রতিকার হয়নি। ঘটনার চারদিন গেল মঙ্গলবার বিকেলে গ্রাম্য সালিশে অভিযুক্ত শাহিনুরকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও ২০ বার জুতা দিয়ে মারার রায় দেন মাতব্বররা। কিন্তু এ রায় না মানায় নির্যাতিত কিশোরী ও তার পরিবারকে মারধর করেন প্রভাবশালীরা।
প্রভাবশালীদের তোপের মুখে পড়ে এখন নিরাপত্তীনতায় পরিবারটি। তবে এ ঘটনার দ্রুত বিচার চান তারা।
এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাটাখালী থানায় গিয়ে অবস্থান নেয় কিশোরী ও পরিবারের লোকজন। তবে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষার পর অবশেষে মামলা নেয় পুলিশ।
মামলার পর নির্যাতিত কিশোরীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে নেয়া হয়েছে। তবে অভিযুক্ত শাহিনুর ও তার পরিবারের লোকজন গা ঢাকা দেয়ায় কাউকে পাওয়া যায়নি ।