কেডিএস গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তাদের রোষানলে জেল খাটছেন মুনির হোসেন
- আপডেট সময় : ০৭:২২:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২০
- / ১৫৩০ বার পড়া হয়েছে
শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে অন্য কোম্পানীতে যোগদান করার পর থেকে এক বছরে ২৬টি মামলার বোঝা মাথায় নিয়ে জেল খাটছেন কেওয়াই স্টীলের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মুনির হোসেন। শুধু তিনিই নন, মামলার কবলে পড়েছেন তার বৃদ্ধ বাবা, ভাইসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা। হয়রানীর হাত থেকে বাঁচতে সন্তানদের নিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন তার স্ত্রী। ন্যায়বিচার পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি। তবে কেওয়াই স্টীল কর্তৃপক্ষের দাবি, ১১ বছর চাকরিকালীন সময়ে কমপক্ষে ৬ শো কোটি টাকা আত্মসাতের সব তথ্যপ্রমাণ হতে নিয়েই মামলাগুলো করেছেন তারা।
৭৭ বছর বয়সী মোয়াজ্জেম হোসেন হোসেন খান। ১৯৮৫ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের হার্ভার মাস্টারের হিসেবে চাকুরি থেকে অবসর নেন তিনি। তিন ছেলের সবাই স্ব স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত; তাই বাকি জীবনটা আরাম আয়েশে কাটানোর স্বপ্ন বুনেছিলেন। কিন্তু গেল এক বছর ধরে আদালতের বারান্দায় ঘুরে সময় কাটছে তার।
মোয়াজ্জেম হোসেনের মেজো ছেলে মুনির হোসেন খান। যুক্তরাষ্ট্রে লেখাপড়া শেষে ব্যাংক অব আমেরিকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০৮ সালে ভালো সুযোগ সুবিধা দিয়ে কে ওয়াই স্টীলের নির্বাহী পরিচালক করে তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসে কেডিএস গ্রুপ। এক বছরের মাথায় পদন্নতিও পান। ১১ বছরপর মালিকপক্ষের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় চাকরি ছেড়ে যোগ দেন অন্য কোম্পানীতে। এরপর থেকেই একের পর এক মামলায় জর্জরিত হচ্ছেন তিনি।
সাবেক শীর্ষ এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গাড়িচুড়ি মামলা থেকে শুরু করে কোম্পানীর টাকায় স্ত্রীর শাড়ি কেনার অভিযোগেও মামলা দায়ের করেছে কেওয়াই স্টীল। শুধু তাই নয় বাবা, ভাই, স্ত্রীসহ পরিবারের অন্যান্যদের আসামী করা হয়েছে এসব মামলায়। হয়রানীর হাত থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছে পরিবারটি।
সাম্প্রতি বিষয়টি আলোচিত হলে, ব্যাখ্যা দিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কেডিএস গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, কর্মরত থাকা অবস্থায় বিভিন্ন কোম্পানী থেকে সরঞ্জাম ও কাঁচামাল কিনতে কমিশনসহ নানান অনিয়ম দুর্নীতি করেছিলেন মনির। আর দুর্নীতির সহযোগী ও সুবিধাভোগী হওয়ায় পরিবারের অন্য সদস্যদেরও অভিযুক্ত করা হয়েছে মামলায়।
হয়রানীর ভয়ে তিন সন্তানকে নিয়ে ইতিমধ্যে দেশ ছেড়েছেন মনিরের স্ত্রী। এদিকে দৈত নাগরিক হওয়ার সুবাদে এমন ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠিও পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এ্যাম্বেসী।