মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে কুষ্টিয়ায় তিন দফায় বেড়েছে চাল, তেল ও মাছ-মুরগীর দাম। করোনার কারণে বাচ্চা উৎপাদন কম, আর বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ না থাকায় চালের বাজার লাগামহীন। এমন অবস্থায় সাধারণ মানুষের জীবন নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। উপরের নির্দেশ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে বাজার মনিটরিং সেল।

এক সপ্তাহ আগে কুষ্টিয়ার পৌরবাজারসহ প্রায় সব বাজারে সোনালী মুরগী ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, লেয়ার ১৭০ থেকে ২০০ টাকা, ব্রয়লার ৯০  থেকে ১১০ টাকা আর দেশী ৩শ’ ৩০ থেকে ৩শ’ ৫০টাকায় বিক্রি হতো। এখন তা বৃদ্ধি পেয়ে সোনালী ২৮০ টাকা, লেয়ার ২৭০ টাকা ব্রয়লার ১শ’ ৫০ টাকা আর দেশী মুরগী ৩শ’ ৪০ থেকে ৩শ’ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে বেচাকেনাও কমে গেছে।

আন্তজার্তিক বাজারে পোল্ট্রি ফিডের দাম বৃদ্ধি পেলেও এত বেশি নয়। খামারিরা কৌশল করে অতিরিক্ত দাম বৃদ্ধি করেছে জানালেন জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা।বাজারে ঘাটতি পুরণের জন্য সরকার ভারত থেকে চাল আমদানি করছে। তার পরও কুষ্টিয়ায় চালের বাজারের লাগাম ধরা যাচ্ছে না। গত প্রায় তিন মাস যাবত মিনিকেট, কাজল লতা, বাশমতি, আঠাশ কেজি প্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে কোন কার্যকর পদক্ষেপ না গ্রহন করায় সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছেন। [ফুটেজ-২]

চাল ও মুরগির সাথে ভোজ্য তেলের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। উপরের নির্দেশ পেলে যে কোন সময় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন এই বাজার কর্মকর্তা।করোনার কারণে অনেকে সংসার-পরিজন নিয়ে পথে বসেছে। তার উপর তিন মাস ধরে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন। সাথে যোগ হয়েছে মুরগী, ভোজ্য তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনী সামগ্রীর দাম। এখনই কার্যকর পদক্ষেপ জরুরী বলে মনে করেন সচেতন মহল।