০৬:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান বাক্স থেকে ৩ মাস ২০ দিনে মিলেছে সাড়ে তিন কোটিরও বেশি টাকা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৭:৫১:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ জুলাই ২০২২
  • / ১৬০৬ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান বাক্স থেকে ৩ মাস ২০ দিনে মিলেছে সাড়ে তিন কোটিরও বেশি টাকা।

এছাড়াও রয়েছে বিপুল পরিমান স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশি মুদ্রা। আগে এসব অর্থ জেলার অন্যান্য মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার উন্নয়নসহ গরীব মেধাবী ছাত্রদের জন্য ব্যয় করা হতো। এখন পাগলা মসজিদকে আন্তর্জাতিক মানের কমপ্লেক্স বানানোর কাজে এসব টাকা ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

মসজিদের লোহার দানবাক্স যেন টাকার খনি। বাক্স খুলতেই শুধু টাকা আর টাকা। এসব টাকা বস্তায় ভরে নেয়া হয় ঐ মসজিদেরই দোতলায়। পরে, মসজিদের মেঝেতে বসে টাকা গুনেন শতাধিক মাদ্রাসা ছাত্রসহ রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা। বছরের কয়েকবারই এমন দৃশ্যের দেখা মিলে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে।

দিনভর গননা শেষে টাকার পরিমান দাঁড়ায় তিন কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা ও প্রচুর পরিমান স্বর্ণাঙ্কার এবং বৈদেশিক মুদ্রা।
এ মসজিদে সঠিক নিয়তে মানত করলে রোগ-বালাই দূর হওয়া সহ বিভিন্ন মনোবাসনা পূর্ণ হয়। এমন বিশ্বাস থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সকল মানুষ এখানে দান করে থাকেন।

নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ছাড়া দানের বিভিন্ন সামগ্রী প্রতিদিন নিলামে বিক্রি করে রূপালী ব্যাংকে থাকা মসজিদের একাউন্টে জমা করা হয়। লাভের অংশ দরিদ্র জটিল রুগীদের চিকিৎসাখাতে ব্যায় করা হয় বলে জানান মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি।

দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত এ পাগলা মসজিদকে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন কমপ্লেক্স নির্মাণ করার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন পাগলা মসজিদের সভাপতি।

জনশ্রুতি রয়েছে, প্রায় আড়াই’শ বছর আগে পাগলবেশী এক আধ্যাত্মিক পুরুষ খরস্রোতা নরসুন্দা নদীর মধ্যস্থলে মাদুর পেতে ভেসে এসে বর্তমান মসজিদ এলাকা জেলা শহরের হারুয়ায় থামেন। ওই পাগলের মৃত্যুর পর সমাধির পাশে এই মসজিদটি গড়ে ওঠে। পরে কালক্রমে এটি পরিচিতি পায় পাগলা মসজিদ নামে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান বাক্স থেকে ৩ মাস ২০ দিনে মিলেছে সাড়ে তিন কোটিরও বেশি টাকা

আপডেট সময় : ০৭:৫১:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ জুলাই ২০২২

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান বাক্স থেকে ৩ মাস ২০ দিনে মিলেছে সাড়ে তিন কোটিরও বেশি টাকা।

এছাড়াও রয়েছে বিপুল পরিমান স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশি মুদ্রা। আগে এসব অর্থ জেলার অন্যান্য মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার উন্নয়নসহ গরীব মেধাবী ছাত্রদের জন্য ব্যয় করা হতো। এখন পাগলা মসজিদকে আন্তর্জাতিক মানের কমপ্লেক্স বানানোর কাজে এসব টাকা ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

মসজিদের লোহার দানবাক্স যেন টাকার খনি। বাক্স খুলতেই শুধু টাকা আর টাকা। এসব টাকা বস্তায় ভরে নেয়া হয় ঐ মসজিদেরই দোতলায়। পরে, মসজিদের মেঝেতে বসে টাকা গুনেন শতাধিক মাদ্রাসা ছাত্রসহ রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা। বছরের কয়েকবারই এমন দৃশ্যের দেখা মিলে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে।

দিনভর গননা শেষে টাকার পরিমান দাঁড়ায় তিন কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা ও প্রচুর পরিমান স্বর্ণাঙ্কার এবং বৈদেশিক মুদ্রা।
এ মসজিদে সঠিক নিয়তে মানত করলে রোগ-বালাই দূর হওয়া সহ বিভিন্ন মনোবাসনা পূর্ণ হয়। এমন বিশ্বাস থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সকল মানুষ এখানে দান করে থাকেন।

নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ছাড়া দানের বিভিন্ন সামগ্রী প্রতিদিন নিলামে বিক্রি করে রূপালী ব্যাংকে থাকা মসজিদের একাউন্টে জমা করা হয়। লাভের অংশ দরিদ্র জটিল রুগীদের চিকিৎসাখাতে ব্যায় করা হয় বলে জানান মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি।

দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত এ পাগলা মসজিদকে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন কমপ্লেক্স নির্মাণ করার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন পাগলা মসজিদের সভাপতি।

জনশ্রুতি রয়েছে, প্রায় আড়াই’শ বছর আগে পাগলবেশী এক আধ্যাত্মিক পুরুষ খরস্রোতা নরসুন্দা নদীর মধ্যস্থলে মাদুর পেতে ভেসে এসে বর্তমান মসজিদ এলাকা জেলা শহরের হারুয়ায় থামেন। ওই পাগলের মৃত্যুর পর সমাধির পাশে এই মসজিদটি গড়ে ওঠে। পরে কালক্রমে এটি পরিচিতি পায় পাগলা মসজিদ নামে।