০২:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

পরিত্যক্ত জমিতে বে-টার্মিনাল নামের নতুন বন্দর গড়তে বেশ ক’টি দেশের বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ প্রকাশ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৩৮:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ১৫০৮ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রামের কাট্টলীর চরে পরিত্যক্ত জমিতে বে-টার্মিনাল নামের নতুন বন্দর গড়তে বেশ ক’টি দেশের বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ দেখিয়েছেন। সরকারের সঙ্গে তাদের আলোচনাও চলছে। সমঝোতা হওয়ার সাথে সাথেই দেশের বন্দর ব্যবস্থাপনার সবচে’ বড় এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী। আর বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে আমুল পরিবর্তন ঘটবে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে। কিন্তু এতো গুরুত্বপুর্ণ প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাজ যত দ্রুত এগোনোর কথা, সে অনুযায়ী তেমন কোনই অগ্রগতি হয়নি এখনো।

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে- আউটার রিং রোডের পাশে সাগর পাড়ের পরিত্যক্ত এই বেলাভূমিতে বে-টার্মিনাল নামের নতুন একটি বন্দর গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দু’বছর আগে এখানে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার পাওয়া প্রকল্প লেখা কিছু সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। একপাশে কিছু এলাকায় মাটি ভরাটের কাজও হয় সে-সময়। কিন্তু এরপর আর এগোয়নি কিছুই। অধিকাংশই খাস জমির মাঝে কিছু ব্যক্তিগত জমি থাকায় তা অধিগ্রহণ নিয়ে তৈরী হয় জটিলতা। তবে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই, ড্রইং-ডিজাইন ও অর্থায়নসহ বাস্তবায়নের রূপরেখার কিছুই দৃশ্যমান হয়নি এখনো। ফুটেজ-১

বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, আর দশটা প্রকল্পের মতো বে-টার্মিনালও পড়েছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়। আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, কর্ণফুলী টানেলের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি মীরসরাই ও আনোয়ারা ইকোনোমিক জোন অপারেশনে এলে তার চাপ সইতে পারবে না চট্টগ্রাম বন্দর। তাই বে-টার্মিনাল প্রকল্প নিয়ে আর কালক্ষেপণ করার সুযোগ নেই।

তবে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর দাবি, প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে অনেক দূর এগিয়েছে বে-টার্মিনাল। বেশকিছু দেশের সাথে চলছে আলোচনা; সমঝোতা হলেই শুরু হবে নির্মাণ কাজ।  বছরে ২৬ লাখ কন্টেইনার আর ৬ কোটি টন খোলাপণ্য হ্যান্ডলিং করার সক্ষমতা আছে চট্টগ্রাম বন্দরের। কিন্তু গেল বছর সক্ষমতার সবটুকু ব্যবহার করে ৩০ লাখের কাছাকাছি কন্টেইনার, আর ৮ কোটি টনেরও বেশি খোলাপণ্য হ্যান্ডলিং করেছে এই বন্দর। এর বেশি চাপ সামলানো এখন অসম্ভব হয়ে উঠেছে। তাই বে-টার্মিনাল অপারেশনে আনার বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পরিত্যক্ত জমিতে বে-টার্মিনাল নামের নতুন বন্দর গড়তে বেশ ক’টি দেশের বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ প্রকাশ

আপডেট সময় : ০১:৩৮:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২০

চট্টগ্রামের কাট্টলীর চরে পরিত্যক্ত জমিতে বে-টার্মিনাল নামের নতুন বন্দর গড়তে বেশ ক’টি দেশের বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ দেখিয়েছেন। সরকারের সঙ্গে তাদের আলোচনাও চলছে। সমঝোতা হওয়ার সাথে সাথেই দেশের বন্দর ব্যবস্থাপনার সবচে’ বড় এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী। আর বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে আমুল পরিবর্তন ঘটবে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে। কিন্তু এতো গুরুত্বপুর্ণ প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাজ যত দ্রুত এগোনোর কথা, সে অনুযায়ী তেমন কোনই অগ্রগতি হয়নি এখনো।

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে- আউটার রিং রোডের পাশে সাগর পাড়ের পরিত্যক্ত এই বেলাভূমিতে বে-টার্মিনাল নামের নতুন একটি বন্দর গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দু’বছর আগে এখানে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার পাওয়া প্রকল্প লেখা কিছু সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। একপাশে কিছু এলাকায় মাটি ভরাটের কাজও হয় সে-সময়। কিন্তু এরপর আর এগোয়নি কিছুই। অধিকাংশই খাস জমির মাঝে কিছু ব্যক্তিগত জমি থাকায় তা অধিগ্রহণ নিয়ে তৈরী হয় জটিলতা। তবে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই, ড্রইং-ডিজাইন ও অর্থায়নসহ বাস্তবায়নের রূপরেখার কিছুই দৃশ্যমান হয়নি এখনো। ফুটেজ-১

বন্দর ব্যবহারকারীরা বলছেন, আর দশটা প্রকল্পের মতো বে-টার্মিনালও পড়েছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায়। আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, কর্ণফুলী টানেলের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি মীরসরাই ও আনোয়ারা ইকোনোমিক জোন অপারেশনে এলে তার চাপ সইতে পারবে না চট্টগ্রাম বন্দর। তাই বে-টার্মিনাল প্রকল্প নিয়ে আর কালক্ষেপণ করার সুযোগ নেই।

তবে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর দাবি, প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে অনেক দূর এগিয়েছে বে-টার্মিনাল। বেশকিছু দেশের সাথে চলছে আলোচনা; সমঝোতা হলেই শুরু হবে নির্মাণ কাজ।  বছরে ২৬ লাখ কন্টেইনার আর ৬ কোটি টন খোলাপণ্য হ্যান্ডলিং করার সক্ষমতা আছে চট্টগ্রাম বন্দরের। কিন্তু গেল বছর সক্ষমতার সবটুকু ব্যবহার করে ৩০ লাখের কাছাকাছি কন্টেইনার, আর ৮ কোটি টনেরও বেশি খোলাপণ্য হ্যান্ডলিং করেছে এই বন্দর। এর বেশি চাপ সামলানো এখন অসম্ভব হয়ে উঠেছে। তাই বে-টার্মিনাল অপারেশনে আনার বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।