০৫:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪

এরিট্রিয়ানদের ডিপোর্ট করার পরিকল্পনা নেতানিয়াহুর

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১২:১৯:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১৬৬৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইসরায়েলে এরিট্রিয়ানদের দুই গোষ্ঠীর দাঙ্গা হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি এরিট্রিয়ার একটি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের রাজধানীতে এরিট্রিয়ানদের দুই গোষ্ঠী সমবেত হয়। একদল এরিট্রিয়ার সরকারের পক্ষে অন্যদল বিপক্ষে। প্রথমে তাদের মধ্যে বচসা হবয়। পরে দুই গোষ্ঠী প্রবল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ইসরায়েলের দাঙ্গাদমনকারী পুলিশ প্রথমে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে, পরে গ্রেনেড এবং গুলি চালানো হয়। ঘটনায় বেশ কিছু মানুষ আহত হয়েছেন।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বক্তব্য, সহ্যের সীমা পার করে ফেলেছে এরিট্রিয়ান অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। ফলে ওই ঘটনায় যুক্ত এরিট্রিয়ানদের ডিপোর্ট করার ব্যবস্থা করা হবে। ইসরায়েলে বসে এভাবে আইন হাতে তুলে নেওয়া বরদাস্ত করা হবে না।

বস্তুত, ইসরায়েলে প্রায় ১৮ হাজার এরিট্রিয়ান থাকেন। তাদের অধিকাংশই অভিবাসনপ্রত্যাশী। নেতানিয়াহুর বক্তব্য, এরিট্রিয়ার অনির্বাচিত সরকারকে যারা সমর্থক করেন, তারা ইসরায়েলে কেন অভিবাসন প্রত্যাশা করেন? তাদের উচিত দেশে ফিরে যাওয়া। দ্রুত যাতে তাদের ডিপোর্ট করা হয়, তার নির্দেশ দিয়েছেন নেতানিয়াহু। সরকারবিরোধীদের নিয়ে আলাদা করে অবশ্য কিছু বলেননি।

এরিট্রিয়ার একটা বড় অংশের মানুষ দেশ ছেড়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এর মধ্যে একটি বড় অংশ বর্তমান সরকারের তীব্র বিরোধী। প্রকাশ্যে তারা সরকারবিরোধী আওয়াজ তুলেছেন। দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়নির্বাচনের দাবি তুলেছেন তারা। কিন্তু এরিট্রিয়ার সরকার তা মানতে চায়নি। ফলে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বিরোধীরা।

শুধু ইসরায়েল নয়, ইউরোপের অন্য দেশেও এরিট্রিয়ানদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তবে নেতানিয়াহু যেভাবে চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন, অন্য দেশে তা হয়নি।

ইসরায়েলের অভিবাসন নিয়ম অত্যন্ত পরিষ্কার। অভিবাসনপ্রত্যাশী বা শরণার্থীদের খুব বেশি জায়গা দেওয়া হয় না সেখানে, যদি না তিনি ইহুদি হন। এখনো পর্যন্ত খুব কম অভিবাসনপ্রত্যাশীকেই জায়গা দিয়েছে ইসরায়েল।

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

এরিট্রিয়ানদের ডিপোর্ট করার পরিকল্পনা নেতানিয়াহুর

আপডেট সময় : ১২:১৯:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ইসরায়েলে এরিট্রিয়ানদের দুই গোষ্ঠীর দাঙ্গা হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি এরিট্রিয়ার একটি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের রাজধানীতে এরিট্রিয়ানদের দুই গোষ্ঠী সমবেত হয়। একদল এরিট্রিয়ার সরকারের পক্ষে অন্যদল বিপক্ষে। প্রথমে তাদের মধ্যে বচসা হবয়। পরে দুই গোষ্ঠী প্রবল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ইসরায়েলের দাঙ্গাদমনকারী পুলিশ প্রথমে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে, পরে গ্রেনেড এবং গুলি চালানো হয়। ঘটনায় বেশ কিছু মানুষ আহত হয়েছেন।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বক্তব্য, সহ্যের সীমা পার করে ফেলেছে এরিট্রিয়ান অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। ফলে ওই ঘটনায় যুক্ত এরিট্রিয়ানদের ডিপোর্ট করার ব্যবস্থা করা হবে। ইসরায়েলে বসে এভাবে আইন হাতে তুলে নেওয়া বরদাস্ত করা হবে না।

বস্তুত, ইসরায়েলে প্রায় ১৮ হাজার এরিট্রিয়ান থাকেন। তাদের অধিকাংশই অভিবাসনপ্রত্যাশী। নেতানিয়াহুর বক্তব্য, এরিট্রিয়ার অনির্বাচিত সরকারকে যারা সমর্থক করেন, তারা ইসরায়েলে কেন অভিবাসন প্রত্যাশা করেন? তাদের উচিত দেশে ফিরে যাওয়া। দ্রুত যাতে তাদের ডিপোর্ট করা হয়, তার নির্দেশ দিয়েছেন নেতানিয়াহু। সরকারবিরোধীদের নিয়ে আলাদা করে অবশ্য কিছু বলেননি।

এরিট্রিয়ার একটা বড় অংশের মানুষ দেশ ছেড়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এর মধ্যে একটি বড় অংশ বর্তমান সরকারের তীব্র বিরোধী। প্রকাশ্যে তারা সরকারবিরোধী আওয়াজ তুলেছেন। দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়নির্বাচনের দাবি তুলেছেন তারা। কিন্তু এরিট্রিয়ার সরকার তা মানতে চায়নি। ফলে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বিরোধীরা।

শুধু ইসরায়েল নয়, ইউরোপের অন্য দেশেও এরিট্রিয়ানদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তবে নেতানিয়াহু যেভাবে চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন, অন্য দেশে তা হয়নি।

ইসরায়েলের অভিবাসন নিয়ম অত্যন্ত পরিষ্কার। অভিবাসনপ্রত্যাশী বা শরণার্থীদের খুব বেশি জায়গা দেওয়া হয় না সেখানে, যদি না তিনি ইহুদি হন। এখনো পর্যন্ত খুব কম অভিবাসনপ্রত্যাশীকেই জায়গা দিয়েছে ইসরায়েল।

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ