মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০১:৫৯:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১
- / ১৫১২ বার পড়া হয়েছে
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের এক মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এমপিওভুক্তি, শিক্ষকদের চাকুরিচ্যুতি, স্বজনপ্রীতিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। চাকরি হারিয়ে কেউ কেউ দিনমজুরি করে সংসার চালাচ্ছে। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে জেলা শিক্ষা অফিস।
চাকরি হারিয়ে পাগলপ্রায় কাশিমাড়ী মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল হাকিম। ১৯৯৭ সালে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার সময় তিনি, প্রধান করনিক আব্দুল গণি, জুনিয়র এফতেদায়ী শিক্ষক আব্দুস সামাদ সরদার ও সুপার হিসেবে আব্দুর রহমানসহ কয়েকজন যোগদান করেন। মাদ্রাসাটি আলিমে উন্নীত হয় ২০০৩ সালে। এসময় মৌলভী শিক্ষক হিসেবে যোগদান দেখিয়ে বেতন করিয়ে দেওয়ার কথা বলে অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান তাদের কাছ থেকে তারিখবিহীন সাদা কাগজে সই নেন।
২০০৯ সালে ওই কাগজ দেখিয়ে তাদের তিনজনকে প্রতিষ্ঠান থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। নিয়ম-নীতি না মেনে পকেট কমিটি তৈরি ও বিভিন্ন কর্মকর্তার সিল জালিয়াতি করে পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেন তিনি। অশিক্ষিত বোনকে আয়া, দু’ ছেলেকে অফিস সহকারী ও নিরাপত্তাকর্মী পদে চাকরি দেন।
শিক্ষকদের বিষয় পরিবর্তনের নামে কৌশলে সাদা কাগজে সই করিয়ে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেন তিনি। এছাড়া, নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বলে জানান, প্রতিষ্ঠানের সভাপতি।
তার দুই ছেলে একই প্রতিষ্ঠানে চাকরির কথা স্বীকার করলেও, তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন অধ্যক্ষ।
সট: ০২- আব্দুর রহমান, অধ্যক্ষ, কাশিমাড়ি মহিলা আলিম মাদ্রাসা, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা।
জেলা শিক্ষা অফিসার জানান, মাদ্রাসাটি পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তদন্তে অধ্যক্ষের দুর্নীতি সম্পর্কে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
সট: ০১। এস.এম. আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা শিক্ষা অফিসার, সাতক্ষীরা।
ভুক্তভোগিদের চাকরি ফিরে পাওয়ার পাশাপাশি দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।