আলোর মুক্তা ঝরছে রাজশাহীর সড়কে। নগরীর চার কিলোমিটার ফোরলেন সড়ক জুড়ে দৃষ্টিনন্দন বিদেশী বাতির ঝলকানিতে যেন নতুন রূপ পেয়েছে পদ্মাপাড়ের শহর। এধরনের সড়কবাতি দেশে এই প্রথম। শুধু বিদেশী বাতির আলোকছটাই নয়, নগরীর বিভিন্ন দেয়ালে দেয়ালে শোভা পাচ্ছে নান্দনিক গ্রাফিতি। বর্ণিল আলো আর রঙ-তুলির আঁচড়ে যেন ভিন্নপ্রাণ পেলো রেশমের শহর রাজশাহী।

ব্রিটিশ আমল থেকে রাজশাহীর বড় পরিচিতি ছিল রেশমের শহর হিসেবেই। কিন্তু হালে এই ঐতিহ্য ম্লান হয়ে গেছে। তবে নানা উন্নয়ন আর সাফল্য রাজশাহীকে এনে দিয়েছে দেশসেরা সুন্দর পরিচ্ছন্ন নগরীর খ্যাতি। ২০১৬ সালে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার জরিপে বিশ্বের সবচে’ নির্মল বাতাসের শহরের স্থান দখল করেছিল এই নগরীই।

এবার আরো একটি চমক দেখালো সিটি কর্পোরেশন। বিলসিমলা রেলক্রসিং থেকে কাশিয়াডাঙ্গা মোড় পর্যন্ত ফোরলেন সড়কে বসানো হয়েছে প্রজাপতির মতো সড়কবাতি। সড়কের ১৭৪টি পোলে থাকা বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতিগুলো অটোলজিক কন্ট্রোলারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন-অফ হবে। এখন উন্নত বিশ্বের নামীদামী শহরগুলোর মতই সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে এই সড়কটি। তবে এর সৌন্দর্য ধরে রাখতে সিটি কর্পোরেশনকে আরো মনোযোগী হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন নগরবাসী।

এদিকে ইউরোপ-আমেরিকার মতই এখন রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন দেয়ালের শোভা বাড়িয়েছে গ্রাফিতি। রঙতুলির আল্পনায় রঙ্গিন হয়ে উঠেছে এই শহর। বিনোদনের জন্য পদ্মার তীরে নির্মাণ করা হয়েছে দুটি ওভারব্রিজ। আর এর সৌন্দর্য বাড়িয়েছে নান্দনিক গ্রাফিতি।

সিটি মেয়র জানান, রাজশাহীকে দেশের সবচে’ সুন্দর ও বসবাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই সড়কটির কেবল আলোকায়নে পাঁচ কোটি ২২ লাখ টাকা ও পদ্মাপাড়ের দুটি ওভার ব্রিজের জন্য খরচ হয়েছে মাত্র এক লাখ টাকা ।