আগামী ১১ জুন জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হবে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট
- আপডেট সময় : ০১:৫০:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুন ২০২০
- / ১৫০৬ বার পড়া হয়েছে
করোনা ভাইরাসের বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে ঘোষণা হতে চলেছে ২০২০-২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট। তাই স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি আলোচনার একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে নতুন বাজেটে চাওয়া-পাওয়ার হিসেব নিকেশ। অর্থনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ী নেতাদের মতে, স্বাস্থ্যখাতে নজরদারির পাশাপাশি ভঙ্গুর অর্থনীতিকে টেনে তোলার সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রয়োজন। আর বাজেট ঘোষণার চেয়ে তা বাস্তবায়নের পরিকল্পনা স্পষ্ট আকারে তুলে ধরতে হবে। না হলে, আসন্ন অর্থবছরে ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে দেশের অর্থনীতি।
আগামী ১১ জুন জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হবে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট। যার আকার হতে চলেছে সাড়ে ৫ লাখ কোটি টাকার বেশী। করোনা পরিস্থিতির কারনে এবারের বাজেট হবে গতানুগতিকের চেয়ে একটু আলাদা। নিশ্চিতভাবেই স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দিতে হবে অন্য বারের চেয়ে বেশি। কৃষিতে ভর্তুকি, রয়েছে নানান খাতে ঘোষণা করা প্রণোদনা পরিশোধের তাগিদ। আমদানী রপ্তানী বাণিজ্যে ভাটার কারণে, রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা পুরণ না হওয়ার আশংকাও কম নয়। তাই সবখাতকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে ঘোষণা করা হবে আগামী বছরের বাজেট এমন প্রত্যাশা চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নেতাদের।
প্রতিবছর বাজেটের আগে দীর্ঘসময় ধরে স্টেকহোল্ডারদের পরামর্শ আর নানা ধরণের দাবি দাওয়া গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও এনবিআর। কিন্তু এবার তেমন আয়োজন হয়নি। আগামী নতুন বাজেট কতটুকু ব্যবসা বান্ধব হবে তা নিয়ে সন্দিহান চট্টগ্রাম চেম্বার। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শুধু বাজেট ঘোষণা করলেই হবে না, থাকতে হবে তা বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট রূপরেখাও। করোনার কারণে কর্মহীন বিপুল পরিমান মানুষের নানামুখি সহায়তা ও বিভিন্নখাতে সহজশর্তে ঋণ আর প্রণোদনা পরিশোদের উদ্যোগ থাকবে নতুন বাজেটে। কিন্তু তা বিতরণে সুষম বণ্টণের নিশ্চয়তা চান অর্থনীতিবিদরা।