০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

অন্তত ৪শ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হলেও থামেনি মাদক ব্যবসা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১১:৩৭:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৯
  • / ১৫১৬ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চলতি বছর অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে দেশে অন্তত ৪শ মাদক ব্যবসায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত হলেও থামেনি মাদক ব্যবসা। শুধু কৌশল আর রুট বদলেছে। মিয়ানমার থেকে আগে শুধু টেকনাফ ও চট্টগ্রাম হয়ে মাদক প্রবেশ করলেও, এখন ভারত হয়ে বিভিন্ন জেলার ৩০টি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে তা ঢুকছে। রুট পরিবর্তনের বিষয়টিকে ভয়াবহ বলে চিহ্নিত করছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।

গত বছরের শেষে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় মাদকের হাট হিসেবে পরিচিত বরিশাল কলোনীতে অভিযান চালায় রেব। বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধারের পাশাপাশি নিহত হয় শীর্ষ দুই মাদক ব্যবসায়ী। প্রশাসনের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানের শুরুটা এখান থেকেই।

এরপর সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে অন্তত ৪শ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়। যার অর্ধেকের বেশী চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও টেকনাফ এলাকায়। সেই সাথে বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশীতো রয়েছেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নানামুখী তৎপরতায় এই রুটে মাদকের দাপট কমেছে বলে দাবি পুলিশের।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর বলছে, শুধু রুট বদলেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। এখন সিলেট, পঞ্চগড়, সাতক্ষীরা, ফেনীসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারত হয়ে ঢুকছে মিয়ানমারের ইয়াবা। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীসহ সেদেশের সরকারের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে দেনদরবার করছে বাংলাদেশ।

সমাজ বিশ্লেষকরা বলছেন, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে মাঠ পর্যায়ের ব্যবসায়ী ও ক্যারিয়াররা আইনের আওতায় এলেও গডফাদাররা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। আর তাই কৌশল ও রুট বললালেও থামছে না মাদকের কারবার।

এক বছর আগে, শীর্ষ মাদকব্যবসায়ী ছাড়াও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক এমনকি পুলিশ কর্মকর্তাদের একটি তালিকা তৈরী করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অভিযানের শুরুতে তালিকার শেষের দিকের অনেকে আইনের আওতায় এলেও, প্রথমদিকের অধিকাংশই রয়েছে ধরাছোয়ার বাইরে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

অন্তত ৪শ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হলেও থামেনি মাদক ব্যবসা

আপডেট সময় : ১১:৩৭:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৯

চলতি বছর অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে দেশে অন্তত ৪শ মাদক ব্যবসায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে নিহত হলেও থামেনি মাদক ব্যবসা। শুধু কৌশল আর রুট বদলেছে। মিয়ানমার থেকে আগে শুধু টেকনাফ ও চট্টগ্রাম হয়ে মাদক প্রবেশ করলেও, এখন ভারত হয়ে বিভিন্ন জেলার ৩০টি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে তা ঢুকছে। রুট পরিবর্তনের বিষয়টিকে ভয়াবহ বলে চিহ্নিত করছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।

গত বছরের শেষে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় মাদকের হাট হিসেবে পরিচিত বরিশাল কলোনীতে অভিযান চালায় রেব। বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধারের পাশাপাশি নিহত হয় শীর্ষ দুই মাদক ব্যবসায়ী। প্রশাসনের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানের শুরুটা এখান থেকেই।

এরপর সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে অন্তত ৪শ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়। যার অর্ধেকের বেশী চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও টেকনাফ এলাকায়। সেই সাথে বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশীতো রয়েছেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নানামুখী তৎপরতায় এই রুটে মাদকের দাপট কমেছে বলে দাবি পুলিশের।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর বলছে, শুধু রুট বদলেছে মাদক ব্যবসায়ীরা। এখন সিলেট, পঞ্চগড়, সাতক্ষীরা, ফেনীসহ বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারত হয়ে ঢুকছে মিয়ানমারের ইয়াবা। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীসহ সেদেশের সরকারের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে দেনদরবার করছে বাংলাদেশ।

সমাজ বিশ্লেষকরা বলছেন, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে মাঠ পর্যায়ের ব্যবসায়ী ও ক্যারিয়াররা আইনের আওতায় এলেও গডফাদাররা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। আর তাই কৌশল ও রুট বললালেও থামছে না মাদকের কারবার।

এক বছর আগে, শীর্ষ মাদকব্যবসায়ী ছাড়াও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক এমনকি পুলিশ কর্মকর্তাদের একটি তালিকা তৈরী করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অভিযানের শুরুতে তালিকার শেষের দিকের অনেকে আইনের আওতায় এলেও, প্রথমদিকের অধিকাংশই রয়েছে ধরাছোয়ার বাইরে।