আগামী প্রজন্মকে আত্মনির্ভরশীল ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে স্কাউট আন্দোলন দেশজুড়ে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ নিয়ে কাজ করছে সরকার। ৩২তম এশিয়া প্যাসিফিক আঞ্চলিক স্কাউট ও একাদশ জাতীয় স্কাউট জাম্বুরির সমাপনী অনুষ্ঠানে সরকারের এই লক্ষ্য তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় স্কাউট ও প্রশিক্ষণ ভবন নির্মাণের ঘোষণা দেন সরকার প্রধান। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে স্কাউট আন্দোলনে যুক্ত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশও দেন প্রধানমন্ত্রী।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় ৩২তম এশিয়া প্যাসিফিক আঞ্চলিক স্কাউট ও একাদশ জাতীয় স্কাউট জাম্বুরি-২০২৩ এর সমাপনী অনুষ্ঠান।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর মৌচাক জাতীয় স্কাউট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় সাবাস শক্তির ফোয়ারা। অংশ নেয় বাংলাদেশ ভারত নেপালসহ বিভিন্নদেশের আগত প্রতিনিধিসহ ১১ হাজার স্কাউট।
দিবসটি স্মরণীয় করে রাখতে স্মারক ডাক টিকেট অবমুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। পুরস্কার তুলে দেন বিজয়ী স্কাউট সদস্যের হাতে। সরকারের পক্ষ থেকে একটি স্মারক উপহারও তুলে দেন শেখ হাসিনা।
বক্তব্যের শুরুতে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে দেশের মাটিতে বিশ্ব স্কাউট জাম্বুরি আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের অব্যাহত চেষ্টায় দুর্নীতি ও জঙ্গীবাদ ও অগ্নি সন্ত্রাসের দেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল।
এসময় নৈতিকতা ও মানবিকতার চর্চার কারণে স্কাউট আন্দোলনের সুফল তুলে ধরেন তিনি।
আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের কারিগর হিসেবে স্কাউটদের গড়ে তোলা হবে বলেও বলেও জানান সরকার প্রধান।
সবশেষ কবি সুকান্তের ভাষায় দেশকে নিয়ে নিজের ভাবনার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।