আজ ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস
- আপডেট সময় : ১১:৩১:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুন ২০২০
- / ১৫০৭ বার পড়া হয়েছে
আজ ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন তখনকার পূর্ব পাকিস্তানের বৈষম্য অবসানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ‘মুক্তির সনদ’ ৬ দফা নিয়ে রাজপথে নেমেছিল বাঙালি। বাঙালির অধিকার বিমূর্ত হয়েছিল ৬ দফার দাবিতে।
সেবে স্বাধিকার আদায়, পশ্চিম পাকিস্তানের শোষনের অবসান আর মুক্তির দিশা নিয়ে বাংলার ইতিহাসে নিজ মহিমায় উঠে আসে ৬ দফা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পেশ করা এ ৬টি দফা কেবল স্বাধীনতার বারতা দিয়েছিল তাই নয়, পশ্চিমা শাসকরা বিদায় ঘন্টা শুনতে পেয়েছিল। ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী লাহোরে পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলোর সম্মেলনে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আধিপত্য হারানোর ভয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের প্রাদেশিক নেতারা ৬ দফা দাবিকে সমর্থন করেনি। তারা ৬ দফাকে পাকিস্তানকে ভেঙে দেওয়ার ষড়যন্ত্র মনে করে তীব্র বিরোধিতা করে। ৬ দফার প্রথমেই ছিল লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে সংবিধান রচনা করে পাকিস্তানকে একটি ফেডারেশনে পরিণত করা। দ্বিতীয় দফায় কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা দেয়া। মুদ্রা ও অর্থ ক্ষমতার দাবির পাশাপাশি রাজস্ব ও কর আদায়ের ক্ষমতা দেয়া। ৫ম ও ৬ষ্ঠ দফায় ছিল বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা। ২১ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির অনুমোদন পায় ছয় দফা। ১৮ মার্চ দলের কাউন্সিল অধিবেশনে ‘আমাদের বাঁচার দাবি : ৬ দফা কর্মসূচি’ প্রচার করা হয়।
৬ দফার প্রতি জনসমর্থন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে সামরিক জান্তা আইয়ুব খানের নির্দেশে ৮ মে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। প্রতিবাদে ৭ জুন সারাদেশে হরতালের ডাক দেয় আওয়ামী লীগ। হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। টঙ্গী, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জে গুলিতে মনু মিয়া, শফিক, শামসুল হকসহ শহীদ হন ১১ জন। আন্দোলন স্ফুলিঙ্গের মতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, রাজপথে নেমে আসে বাংলার মুক্তিকামী জনগণ। ৬-দফা স্বীকৃতি পায় বাঙালির মুক্তির সনদ হিসেবে। ৫ বছরের ব্যবধানে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।