ঝিনাইদহের মহেশপুরের সীমান্তঘেঁষা গ্রাম শ্রীনাথপুরে হালদার সম্প্রদায়ের লোকজনের চলাচলের একমাত্র ভরসা একটি বাঁশের সাঁকো। শুধু দৈনন্দিন যাতায়াত নয়, সামাজিক সম্পর্কও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক সময় শুধু মাত্র সেতু না থাকার কারণে ভেঙে যায় বিয়ের আলোচনা। শিগগির সেতু নির্মাণ করে গ্রামবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের আশ্বাস দিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
এভাবেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো পার হচ্ছেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা অবহেলিত গ্রাম শ্রীনাথপুর হালদারপাড়ার শ্রীনাথপুরের মানুষ। অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া, শিশুদের স্কুলে যাওয়া, বাজার করা- সব কাজেই নেমে আসে দুর্ভোগ। বর্ষায়, পরিস্থিতি তৈরি হয় আরও ভয়াবহ। নদীর ঢেউ আর পিচ্ছিল বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে প্রতিদিন চলাচল যেন গ্রামবাসীর নিয়তির অংশ।
তিনদিক ঘিরে ইছামতি নদী, আরেক পাশে ভারতের নদীয়া জেলা। দূর থেকে দেখে মনে হয়, এ যেন দেশের মধ্যেই বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। এমনকি ছেলে-মেয়েদের বিয়েও দিতে পারছেন না বাসিন্দারা।গ্রামবাসীরা বলছেন, তারা সব কিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু সেতুর অভাব তাদের সবচেয়ে বড় কষ্টের। দ্রুত সেতু নির্মাণ করে ভোগান্তি থেকে মুক্তির দাবি স্থানীয়দের।
শিগগির সেতু নির্মাণ করে গ্রামবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের আশ্বাস দিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
শ্রীনাথপুর গ্রামে ২’শ পরিবারের বসবাস থাকলেও বর্তমানে ৩৫টি ঘরে মানুষের বসবাস রয়েছে। তাঁদের উপার্জনের প্রধান উৎস মাছ ধরা ও চাষাবাদ।