বাজেটে দাম বাড়তে-কমতে পারে যেসব পণ্যের

- আপডেট সময় : ০৫:২৯:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
- / ২৫০৭ বার পড়া হয়েছে
২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট আজ সোমবার বিকেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পেশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এটাই তার নেতৃত্বে প্রথম বাজেট পেশ, যা আগামী অর্থনৈতিক বছরকে সামনে রেখে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক দিকনির্দেশনা দেবে।
বাজেটে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি, সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং অবকাঠামো খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ভোক্তাপণ্যের ওপর শুল্ক ও করহার পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাব করা হয়েছে।
যে-সব পণ্যের দাম বাড়তে পারে:
১। সিগারেট, বিড়ি ও তামাকজাত পণ্যে সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব
২। বিলাসবহুল গাড়ি ও এয়ারকন্ডিশনের উপর শুল্ক বৃদ্ধি
৩। বিদেশি প্রসাধনী ও পারফিউমে আমদানি কর বৃদ্ধি
৪। প্লাস্টিক ও একবার ব্যবহারযোগ্য সামগ্রীতে পরিবেশ কর বাড়ানোর সুপারিশ
৫। সেলফ-কপি পেপার-ডুপ্লেক্স বোর্ড-কোটেড পেপার।
৬। বাণিজ্যিক ভবন (কমার্শিয়াল স্পেস), ফ্ল্যাট।
৭। দেশে তৈরি মোবাইল ফোন, এলপিজি সিলিন্ডার,ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রো ওভেন, ইলেকট্রিক ওভেন, ব্লেন্ডার-জুসার-মিক্সার-গ্রাইন্ডার, ইলেকট্রিক কেটলি-ইস্ত্রি, রাইস কুকার-প্রেসার কুকার, লিফট, ফোর স্ট্রোক থ্রি-হুইলার যান, লিফট।
এ ছাটাও বাড়তে পারে, হেলিকপ্টার সার্ভিস,ওটিটি কনটেন্ট, সেলফ-কপি পেপার-ডুপ্লেক্স বোর্ড-কোটেড পেপার, রড, সাবান-শ্যাম্পু, এলপিজি, বলপয়েন্ট কলম, ব্লেড, সুতা, সিমেন্ট শিট, ম্যানমেড ফাইবার, স্ক্রু-নাট-বোল্ট, সার্জিক্যাল কিটস, শিপ স্ক্র্যাপস গুডস, থ্রি-হুইলার ব্যাটারি, ক্রেডিট রেটিং সার্ভিস, সেটআপ বক্স ইত্যাদি।
যে-সব পণ্যের দাম কমতে পারে:-
১। কৃষিপণ্য উৎপাদন সহায়ক যন্ত্রপাতিতে শুল্ক ও ভ্যাট কমানো।
২। সোলার প্যানেল ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি পণ্যে কর রেয়াত।
৩। কিছু ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামে শুল্ক হ্রাস।
৪। শিক্ষাক্ষেত্রের উপকরণ (যেমন—ল্যাব ইকুইপমেন্ট, বই ইত্যাদি) আমদানিতে কর ছাড়।
এ ছাটাও কমতে পারে- চিনি, স্যানিটারি ন্যাপকিন, আইসক্রিম, ভূমি নিবন্ধন ফি, ক্যানসারের ওষুধ, ইনসুলিন, এলএনজি, টায়ার, দেশি তৈরি ই-বাইক, মাটির পাত্র-পেপার প্লেটস-অন্যান্য, কম্পিউটারের দেশে তৈরি বড় মনিটার, উড়োজাহাজ ভাড়া, লিথিয়াম-গ্রিফিন ব্যাটারি ইত্যাদি।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই বাজেট দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা, মূল্যস্ফীতির চাপ কমানো এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে গতি দেওয়ার দিকে নজর রেখে প্রণয়ন করা হয়েছে। জনগণের স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।”
উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর এই বাজেট পেশ করা হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে। আগামী নির্বাচনের পর চূড়ান্ত বাজেট বাস্তবায়নের দায়িত্ব নেবে নির্বাচিত সরকার।