আম্পানের তান্ডবে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাখিমারা বিলের (টিআরএম) বাঁধের ৬টি পয়েন্টে ভেঙ্গে প্রায় ২শ’ পরিবার পানিবন্ধি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর অনীহার কারণে দীর্ঘদিন ধরে পেরিফেরিয়াল বাঁধ সংস্কার না করায় এমন পরিস্থিতির স্বীকার হতে হয়েছে এই এলাকার মানুষের। ঠিকাদার নয় জরুরী ভিত্তিতে সেনাবাহীনির তত্ত্বাবধানে পেরিফেরিয়াল বাঁধ সংস্কারের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।

২৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে কপোতাক্ষ খননের পর ২০১৭ সালে জুন মাসে ১৬ শ’ একর জমি নিয়ে তালার পাখিমারা বিলে চালু করা হয় টিআরএম প্রকল্প। ফলে বিশাল কপোতাক্ষ অববাহিকার প্রায় ৫০ লাখ মানুষ সরাসরি উপকৃত হয়। দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা না হওয়ায় মানুষের জীবন জীবিকা ছিল নিরাপদ। হাঠাৎ করে ঘূর্ণী ঝড় আম্পানের তান্ডবে পাখিমারা বিলের ৫ টি পয়েন্টের বাঁধ ভেঙ্গে মাদরা এলাকার গুচ্ছগ্রামে প্রায় ২শত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ফলে হুমকির মধ্যে পড়েছে সাতপাকিয়া,গৌতমকাটি,দোহার,শ্রীমন্তকাটি,আটুলিয়া,কলাগাছি ও মাদরাসহ ৮টি গ্রামের বাসিন্দরা।পানিবন্দি এসব মানুষের দুঃখ আর দুর্দশার দেখেও প্রশাসন যেন নির্বিক। পাখিমারা বিলের টিআরএম অন্তভূক্ত জমির মালিকরা বিগত ৮ বছররেও ক্ষতিপূরণের টাকা পায়নি-বলে অভিযোগ করেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সভাপতি সরদার রবিউল ইসলাম (মুক্তি)। আম্পানের তান্ডবে ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাধটি জরুরী ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর তত্ত্ববধানে পূন: নির্মান করায় দাবি জানিয়েছেন কপোতাক্ষ বাচাঁও আন্দোলনের  নেতা উপাধ্যক্ষ মো.মহিবুল্লাহ মোড়ল।

ইতিমধ্যে টিআরএম বাঁধ মেরামতের বরাদ্ধ দিয়েছে সরকার-অতিদ্রুত বাঁধ সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। এলাকার পানিবন্দি মানুষের ভোগান্তি কমিয়ে আনতে ক্ষয়-ক্ষতির তালিকায় টিআরএম এর নাম উল্লেখ না করার কারণেই এখনও পর্যন্ত এই বাঁধ সংস্কার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা-১ আসনের  সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।

জরুরী ভিত্তিতে বাঁধ সংস্কার করা সম্ভব না হলে কপোতাক্ষ অববাহিকার প্রায় ৫০ লাখ জনগোষ্ঠী আবারও ভয়াবহ জলাবদ্ধতার শিকার হতে পারেন বলে তারা আশংকা করছেন সংশিষ্টরা।