৩ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি সিলেটের রেলপথ উন্নয়ন ও সংস্কারের মেগা প্রকল্প
- আপডেট সময় : ০৪:০২:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জুলাই ২০২২
- / ১৫২৫ বার পড়া হয়েছে
ইঞ্জিন বিকল, বগিতে অগ্নিকাণ্ডসহ ঘন ঘন দুর্ঘটনায় সিলেট-ঢাকা, সিলেট-চট্টগ্রাম রেলপথে ট্রেন যাত্রীদের দুর্ভোগ ও আতঙ্ক বাড়ছে। মেয়াদোত্তীর্ণ লক্কর-ঝক্কর ইঞ্জিন-বগি দিয়ে চলছে ট্রেন। শমসেরনগরের কাছে আন্ত:নগর পারাবতে অগ্নিকাণ্ডে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে রেলের অব্যবস্থাপনার বিষয়টি উঠে এসেছে। এদিকে রেলমন্ত্রীর আশ্বাসের ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও আলোর মুখ দেখেনি সিলেটের রেলপথ উন্নয়ন ও সংস্কারের মেগা প্রকল্প।
রেলপথে চলাচল আরামদায়ক ও নিরাপদ মনে করা হলেও এখন ভোগান্তির অপর নাম সিলেটের রেলভ্রমণ। লাইন সংস্কার না করাসহ কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এই পথে ঘন ঘন ট্রেন দুর্ঘটনা হচ্ছে। সর্বশেষ বৃহম্পতিবার ইঞ্জিন বিকল হয়ে সিলেটের মাইজগাঁও রেলস্টেশনে আটকা পরে পারাবত ট্রেন। এতে সিলেটের সাথে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
সিলেটের রেল পথে বিভিন্ন সময়ে টেন লাইনচ্যুত,কয়েক বছরে শায়েস্তাগঞ্জ,সাতগাঁও, শমসেরনগর, কুলাউড়া, বরমচাল,মাইজগাঁও, মোগলাবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বহুবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রেন। এতে দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা।
গত ১১ জুন শমসের নগরের কাছে সিলেটগামী আন্ত:নগর পারাবত ট্রেনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। তদন্তে রেলওয়ের দু’টি এবং মৌলভীবাজার জেলা প্রশাস একটি কমিটি করে। ইতিমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে কমিটি। এতে রেলের অব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বশীলদের অবহেলার কথা বলা হয়।
লাইনের অবস্থার উন্নয়ন হলে, দুর্ঘটনা কমবে বলে মনে করেন বলে মনে করেন স্টেশন মাস্টাররা।
যাত্রীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সেজন্য তৎপর রয়েছে রেলওয়ে পুলিশ।
ট্রেন দুর্ঘটনা রোধে রেলের প্রতিটি কর্মকর্তা সচেষ্ট বলে দাবি করেন সাবেক প্রধান প্রকৌশলী।
২০১৯ সালের ২৬ জুন কুলাউড়ার বরমচালে ট্রেন দুর্ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শনে এসে ঢাকা-সিলেট রেললাইনের উন্নয়নে মেঘা প্রকল্প গ্রহণের আশ্বাস দেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
কিন্তু ৩বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও আলোর মুখ দেখেনি কথিত সেই প্রকল্প। তবে দ্রুত প্রকল্প নেয়া হবে বলে আশা করেন সিলেটবাসী।