দীর্ঘ ১৯ বছরেও বিচার হয়নি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বানিযারচর গির্জায় বোমা হামলার। এতে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে শিগগিরই এ হত্যাকাণ্ডের বিচার শেষ করার দাবি জানিয়েছে নিহতদের স্বজনরা। ২০০১ সালের এই দিনে ভয়াবহ বোমা হামলায় খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের ১০ জন নিহত ও অর্ধশত মানুষ আহত হয়। দিনটি পালন উপলক্ষে বানিয়ারচর গীর্জায় প্রার্থনাসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

সূখ রঞ্জন হালদারের বয়স প্রায় ৭৭। স্ত্রী রোগে আক্রান্ত হয়ে এখন বিছানায়। আর বোমা হামলায় মারা গেছেন একমাত্র ছেলে সুমন হালদার। ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে দীর্ঘ ১৯ বছরে শুকিয়ে গেছে তার চোখের পানি। তার মতই স্বজন হত্যার বিচার পাওয়ার আশায় দিন গুণছেন নিহত ঝিন্টু হালদার, সতীশ বিশ্বাস, বিনোদ দাসসহ আরো নয়টি পরিবার।

হত্যাকান্ডের ঘটনায় দুটি মামলায় হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নান মুন্সীসহ বেশ কয়েকজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার প্রধান আসামী হরকাতুল জেহাদ নেতা মুফতি হান্নানের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।

সিআইডি দ্রুত তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট দিলে বিচার কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন পাবলিক প্রসিকিউটর। আর বরাবরের মত আশার বানী শুনিয়েছেন সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা।

এদিকে, প্রতি বছরের মত এ দিনে নিহতদের স্মরণে প্রার্থনা সভা, কবর জিয়ারত, প্রদীপ প্রজ্জ্বলনসহ নানা কর্মসূচির কথা জানালেন গির্জার ফাদার।

দ্রুত এ হত্যাকান্ডের বিচার দেখে যেতে চান স্বজন হারানো পরিবারগুলো।