হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী আর নেই
- আপডেট সময় : ১০:৫১:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১৫৬২ বার পড়া হয়েছে
দেশের সবচে’ প্রবীণ আলেম, হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ১০৪ বছর। আজ বাদ জোহর চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় জানাজাশেষে সেখানেই তার দাফন হবে। আল্লামা শফীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশের আলেম সমাজ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। মৃত্যুর আগে নিজের ছাত্রদের কাছেই হাটহাজারী মাদ্রাসার ভেতরে টানা ৩৬ ঘন্টার বেশী সময় অবরুদ্ধ ছিলেন আহমদ শফী। ছাত্রদের দাবির মুখে হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালকের দায়িত্বও ছাড়েন তিনি। এর কিছু সময় পরই, বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সাথে সাথে তাকে নেয়া হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার বিকেলে এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে পাঠানো হয় ঢাকায়। সংকটাপন্ন অবস্থায় আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণের মধ্যেই দেশের এই শীর্ষ ধর্মীয় নেতা ইন্তেকাল করেন।
চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। এর আগে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আনা হয় তাকে।
১৯১৬ সালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পাখিয়ারটিলা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এই ইসলামী চিন্তাবিদ।
রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা মাদ্রাসা, পটিয়ার আল জামিয়াতুল আরাবিয়া মাদ্রাসা এবং হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার পর ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসায় ৪ বছর পড়ালেখা শেষ করে ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কওমী মাদ্রাসা- চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার মুহতামিম বা মহাপরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মৃত্যুর আগের দিন এক অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে ওই মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয় তাকে।
বুধবার থেকে হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্ররা টানা ৩৬ ঘন্টা আল্লামা শফীকে নিজ কক্ষে অবরুদ্ধ রেখে ভাংচুর চালায় বাইরে। এসময় নিজের খাদেমের মাধ্যমে ছাত্রদের শান্ত থাকার বার্তা পাঠান আল্লামা শফী। একপর্যায়ে শুরা কমিটির জরুরী বৈঠক ডেকে বৃহস্পতিবার রাতেই মাদ্রাসার মুহতামিমের পদ থেকে সরে যান। এর পরপরই অসুস্থ হয়ে পড়লে রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় এই আলেমকে।
হাটহাজারী মাদ্রাসা ছাড়াও কওমী মাদ্রাসা বোর্ড- বেফাকুল মাদারিল আরাবিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও আলোচিত ইসলামী সংগঠন- হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা ও আমীরের দায়িত্ব পালন করছিলেন আল্লামা শফী। তার ইন্তকালে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সারাদেশের ধর্মীয় অঙ্গনে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও শোক জানিয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।