হজের খুৎবায় বিশ্বসংকট মোকাবিলায় মুসলমানদের আরো ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশনা
- আপডেট সময় : ০৮:০৫:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জুলাই ২০২২
- / ১৫৩২ বার পড়া হয়েছে
পালিত হচ্ছে পবিত্র হজ্ব। “লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক” ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাত ময়দান।
হজের খুতবায় মুসলিম জাহানের কল্যাণ কামনা করে চলমান বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় মুসলমানদের ঐক্যের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
আরাফাত ময়দানে হজ্বের প্রধান আনুষ্ঠানিকতায় সমবেত হয়েছেন সারা বিশ্বের দশ লাখ মুসলিম।
এ ময়দানেই মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) দিয়েছিলেন বিদায় হজের ভাষণ। হজ্বের আনুষ্ঠানিকতার দ্বিতীয় দিনে কাল থেকে ৩ দিন শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ এবং শনিবার সৌদী আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে পশু কোরবানি ও ঈদুল আযহা পালিত হবে।
ইসলামের ৫টি স্তম্ভের অন্যতম হজ। পাপমুক্তি ও আত্মশুদ্ধির ব্রত নিয়ে আল্লাহ’র নৈকট্য লাভে পবিত্র হজ পালন করেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান ।
সারা বিশ্ব থেকে সৌদি আরবে সমবেত হওয়া মুসলমানেরা আরাফাত ময়দানে হাজির হন হজের মূল আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নিতে। ‘লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে বিদায় হজের স্মৃতি বিজড়িত এ ময়দান। আরাফাতের ময়দানে খুতবার পর জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। এছাড়া আল্লাহর জিকিরে মশগুল থাকেন তারা।
আরাফাতের ময়দানে পবিত্র হজের খুতবা শুরু হয় বাংলাদেশ সময় সাড়ে ৩টার দিকে। খুতবা দেন সৌদির সাবেক বিচারমন্ত্রী শায়খ ড. মুহাম্মদ বিন আবদুল করিম আল ঈসা। আরবি ভাষায় দেয়া খুতবা বাংলায় অনুবাদ করেন মোহাম্মদ শোয়াইব রশীদ ও তাঁর সহকারী খলিলুর রহমান। খুতবায় বর্ণনা হয়, কুরআনে দেয়া আল্লাহর নানা প্রতিশ্রুতি ও আদেশের বাণী। দোয়া করা হয় বিশ্বের মঙ্গল কামনায়।
বর্তমান বিশ্বের সংকটময় পরিস্থিতিতে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যের বন্ধন ও পারস্পারিক সহযোগিতা আরো দৃঢ় করতে সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতে অবস্থানের পর হাজিরা মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। রাতে সেখানে অবস্থান করবেন খোলা মাঠে। ইসলামের বিধান মেনে আরাফাত থেকে আবার মিনায় প্রত্যাবর্তনের পর পর্যায়ক্রমে শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, আল্লাহর উদ্দেশে পশু কোরবানি, মাথা মুণ্ডন এবং কাবা শরীফে বিদায়ী তাওয়াফের মধ্য দিয়ে ১৩ জিলহজ্ব শেষ হবে হজ্বের আনুষ্ঠানিকতা।
বৈশ্বিক মহামারীর কারণে দু’বছর পর সীমিত আকারে অনুষ্ঠিত হয় এবছরের পবিত্র হজ।
আরাফাত ময়দানে জড়ো হন বিশ্বের ১০ লাখ মুসলিম।
হজের মহামিলন থেকে বিশ্ব মুসলিমের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা নিতে আহ্বান জানিয়েছেন দেশের ইসলামী বিশেষজ্ঞরা। আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের পাশাপাশি বর্তমান বিশ্ব সংকটময় পরিস্থিতিতে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যের বন্ধন ও পারস্পরিক সহযোগিতা আরো দৃঢ় করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
বৈশ্বিক মহামারীর কারণে দু’বছর পর সীমিত আকারে অনুষ্ঠিত হবার পর আবারো বৃহৎ পরিসরে শুরু হলো পবিত্র হজ্ব। এবছর হজ্ব করার সুযোগ পাচ্ছেন বিশ্বের ১০ লাখ মুসলিম।
সকাল থেকে আরাফাতের ময়দানে মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও একদিন আগেই হাজিরা মিনার তাঁবুতে পৌঁছান।
ইসলামী বিশেষজ্ঞরা জানান, ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের মধ্যে হজ্ব অতি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত– যা বাড়ায় বিশ্ব ভ্রাতৃত্ববোধ।
হজ্বের আনুষ্ঠানিকতায় সমবেত হয়ে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের পাশাপাশি বর্তমান বিশ্ব সংকটময় পরিস্থিতিতে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যের বন্ধন ও পারস্পারিক সহযোগিতা আরো দৃঢ় করার পরামর্শ ইসলামী বিশেষজ্ঞদের।
ইসলামের বিধান মোতাবেক, আরাফাত থেকে আবার মিনায় প্রত্যাবর্তনের পর পর্যায়ক্রমে শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, আল্লাহর উদ্দেশে পশু কোরবানি, মাথা মুণ্ডন এবং কাবা শরীফে বিদায়ী তাওয়াফের মধ্য দিয়ে ১৩ জিলহজ্ব শেষ হবে হজ্বের আনুষ্ঠানিকতা।