ময়মনসিংহে নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা ব্যাংক এবং সমিতির কিস্তির চাপে দিশেহারা
- আপডেট সময় : ০১:৩৪:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুন ২০২০
- / ১৫০৭ বার পড়া হয়েছে
নিরাপদ দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ময়মনসিংহ জেলায় আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ১ জুন থেকে একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়েছে। এদিকে করোনাকালে নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা ব্যাংক এবং সমিতির কিস্তির চাপে দিশেহারা। দু’মাস ধরে বন্ধ থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম অভাবে দিন কাটাচ্ছেন তারা।
ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও বিপণী বিতানগুলোতে মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে । দুই মাসের লকডাউন শেষে বাড়ীর বাইরে বেরিয়ে পড়েছে সবাই। জীবন- জীবীকার তাগিদে ছুটে চলা এসব মানুষেরা করোনার ভয়কে উপেক্ষা করে দিন রাত কাজকর্ম করে যাচ্ছেন। অভাবের তাড়নায় করোনায় স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দুরত্ব বেমালুম যেন ভুলতে বসেছে সবাই। প্রতিটি হাট বাজারে সামাজিক দুরত্ব তো দূরে থাক, স্বাস্থ্যবিধির ছিটেফোঁটাও এখন আর পালন করছেনা কেউই। গাদাগাদি করে কেনা-বেচায় ব্যস্ত ক্রেতা-বিক্রেতারা। মাস্ক সাথে থাকলেও অধিকাংশরা তা ঠিক মতো মুখে লাগাচ্ছে না। লকডাউনে দু’মাস কর্মহীন নিম্ন আয়ের মানুষেরা সরকারি সহায়তা না পেয়ে বাধ্য হয়ে করোনার ঝুঁকি নিয়েই নেমে পড়েছেন কাজ-কর্মে।
এদিকে, ব্যাংক এবং সমিতির কিস্তির চাপে দিশেহারা অবস্থা সাধারণ ব্যবসায়ীর। দু’মাস ধরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন তারা । অন্যদিকে, বৈশ্বিক এই মহামারীর সময় কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে সরকার ও বিত্তবাণদেরকে খাবার পৌছে দিয়ে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি কমানোর আহ্ববান জানিয়েছেন জেলা নাগরিক আন্দোলনের এই নেতা। মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানানোর জন্য নানা উদ্যোগ নেয়াসহ সামনের দিনগুলোতেও সরকারি সহায়তা কার্যক্রম চালু রাখার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। মানুষের মাঝে সামাজিক দুরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা নিশ্চিত করা গেলে, অনেকাংশ স্থানেই কমবে করোনা সংক্রমণ; এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।