খুলনা সিটি কর্পোরেশনে ওয়াসা ও বিদ্যুৎ বিভাগসহ বিভিন্ন সেবা সংস্থার সমন্বয়হীন রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির ফলে চরম ভোগান্তিতে নগরবাসী। যানজট আর ধুলোবালিতে অতিষ্ঠ জনজীবন। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কসহ অনেক সড়ক এখন কাটাকাটির কবলে। কোনো কোনো সড়ক বছরের পর বছর ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে আছে। আবার এক মাসেই একাধিকবার কাটা হচ্ছে অনেক সড়ক।

গত কয়েক বছর ধরে খুলনা নগরীতে পানির পুরাতন পাইপ পরিবর্তনের পাশাপাশি নতুন পাইপ লাগানোর কাজ করছে ওয়াসা। কিন্তু কাজ আর শেষই হয় না। একের পর এক রাস্তা কেটে রাখা হচ্ছে । উন্নয়নের নামে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি আর জলবদ্ধতায় নগরজুড়ে জনদুর্ভোগ এখন চরমে । ওয়াসার সাথে এবার রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। নগরীর খালিশপুর গোয়ালপাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইন যাবে বটিয়াঘাটার হোগলাডাঙ্গা উপকেন্দ্র পর্যন্ত। এভাবে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয় ছাড়া রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না নগরবাসীর। সামনের বর্ষা মৌসুমে কী অবস্থা হবে, সেটা ভেবে আতঙ্কিত নগরবাসীরা।

উন্নয়নের নামে যে কাজ হচ্ছে তাতে জমে যাওয়া আবর্জনা সময় মতো পরিষ্কারের জন্য সংশ্লিষ্টরা সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করলে বিপুল ব্যয় সাশ্রয় হওয়ার পাশাপাশি নাগরিক দুর্ভোগ কমানো সম্ভব বলে মনে করেন উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির এই নেতা । শহরজুড়ে রাস্তা কাটাকাটির কারণে যানবাহন নিয়ন্ত্রণেও চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ট্রাফিক বিভাগকে। জন ভোগান্তির কথা স্বীকার করে দ্রুত কাজ শেষ করার কথা বলছেন কেসিসির মেয়র।

জনদুর্ভোগ কমাতে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে খুলনা সিটি কর্পোরেশন এমনটাই প্রত্যাশা সবার।