সিলেটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও, তাপদাহে দুর্বিষহ বানভাসীদের জীবন
- আপডেট সময় : ০১:৪০:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ জুলাই ২০২২
- / ১৫৩১ বার পড়া হয়েছে
সিলেটে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে তেমন বৃষ্টিপাত নেই। তবুও মন্থর গতিতে নামছে নদীর পানি। এদিকে, টানা তাপদাহে গরম হওয়া বন্যার পানিতে পা ফেলার জোঁ নেই। এতে আরো দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে বানভাসিদের জীবন। সিলেট আবহাওয়া অফিস বলছে, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায়, তীব্র গরম অনুভব হচ্ছে। সহসা তাপদাহের দাপট কাটছে না।
সিলেটে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা সামলে ওঠার আগেই তীব্র তাপদাহের কবলে পড়ে নাভিশ্বাস উঠেছে বানভাসী মানুষের। বাতাসের সাথে যেনো ঝরছে আগুনের ফুলকি। গরমের হলকায় তাপ অনুভূত হচ্ছে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। একটু প্রশান্তির আশায় মানুষ পুকুর-জলাশয়ে গা ভিজিয়ে কিংবা গাছতলায় শুয়ে-বসেও শান্তির ছোঁয়া পাচ্ছে না। বন্যার পানিতে নিমজ্জিত এলাকায় মরার উপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই তাপদাহ। বন্যার পানি সূর্যের খরতাপে উত্তপ্ত হয়ে অসহ্য যন্ত্রণায় ফেলেছে বানভাসীদের।
কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে এখনও বিপদসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর উভয় তীরের উপজেলা ও হাকালুকি কাউয়াদীঘি হাওরের বিস্তীর্ণ এলাকা পানিতে তলিয়ে আছে। এসব এলাকার বানভাসীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে সর্দি-জ্বরসহ নানা রোগব্যাধি।
বর্ষার মাঝে ঈদে সিলেটের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র সাধারণত লোকে লোকারণ্য থাকলেও, এবার নেই সেই চিত্র। ঈদের দিন থেকেই সিলেটে বইছে তাপদাহ। বাইরে বের হলেই মনে হচ্ছে অগ্নিকুণ্ড। বৃষ্টি নেই, ফুরফুরে বাতাসও নেই। তার ওপর ঠিকমতো থাকছে না বিদ্যুৎ। রোদ, গরম আর লোডশেডিংয়ে হাঁপিয়ে উঠেছেন মানুষ। তাপমাত্রা উর্ধ্বমূখী থাকায় ওষ্ঠাগত প্রাণীকূলের জীবন।
সিলেট আবহাওয়া অফিস বলছে, চলমান তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। ভারী বর্ষণ শুরু না হওয়া পর্যন্ত গরম প্রশমিত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপের পর বৃষ্টি হতে পারে বলে জানান আবহাওয়াবিদরা।
কষ্টের মধ্যেও সিলেটের বানভাসীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে এখন দ্রুত তাপমাত্রা কমে আসার প্রত্যাশায়।