সিলেটে বাসভাসীদের ঘরে নেই ঈদের আনন্দ
- আপডেট সময় : ১২:৩৭:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ জুলাই ২০২২
- / ১৫২৪ বার পড়া হয়েছে
আজ ঈদুল আজহা। কিন্তু সিলেটে বাসভাসীদের ঘরে আনন্দের ছোয়া নেই।
বরং পানি নামতে শুরু করায়, ঘরে ফিরে বেঁচে থাকার নতুন সংগ্রামে সামিল হয়েছেন তারা। বন্যা শুরুর ২৫ দিনের মাথায় সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার নিচে নামলেও কুশিয়ারার পানি এখনও দু’টি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কিছু এলাকার বাড়ি-ঘর রাস্তঘাট, ঈদগাহ-মসজিদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখনও তলিয়ে আছে। যে সব এলাকার পানি নেমেছে, সেখানে আশ্রয় কেন্দ্র থেকে মানুষ বাড়ি ফিরে হতাশ। সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বানভাসিদের জন্য নিজের ঈদ আনন্দ বিসর্জন দিয়েছেন।
সিলেটে বন্যা শুরুর ২৫ দিনের মাথায় সুরমার পানি বিপদ সীমার নিচে নামলেও দু’টি স্থানে কুশিয়ারার পানি বিপদ সীমারউপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। তবে বানের জলে ভেসে গেছে অনেকের ঘর। কারও উঠানে তৈরি হয়েছে পুকুরের মত বড় বড় গর্ত।
সিলেট সদরের কান্দিগাঁওয়ের সাজ্জাদ মিয়ার ঘরের চিত্র এটি। শুধু সাজ্জাদ মিয়ার বাড়ি নয়, এমন হাজারো ঘর-বাড়ি তছনছ করেছে বন্যা। এখন প্রতিবেশির ঘরে আশ্রয় নিয়ে নিজের ঘর মেরামত শুরু করেছেন কেউ কেউ।
আজ ঈদ হলেও আনন্দেও ছোঁয়া নেই বানভাসিদের মধ্যে। ঈদের দিনও বাচ্চাদের মুখে ভালো মন্দ কিছু খাবার তুলে দিতে পারেননি তারা। তাই এটা অনেক বেশি কষ্টের। কষ্টকে সঙ্গী করে নেমেছেন জীবন যুদ্ধে। তাই দিশেহারা বানভাসি মানুষ।
অনেকের ঘর থেকে পানি নামলেও আশপাশের চার দিক পানিতে টইটুম্বুর। তলিয়ে আছে রাস্তাঘাট। আশ্রয় কেন্দ্রে গাগাগাদি করে আছেন অনেকে। রান্নার সুযোগ নেই। কোনমতে ইট বসিয়ে একটি চুলা তৈরি করে দিনে একবেলা খাবারের সংস্থান করছেন। একই চুলায় ধারাবাহিকভাবে ৫/৬ টি পরিবার রান্না করছে। ফলে এখানে ভালো মন্দ কিছু করার সুযোগ নেই বলে জানান আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা বানবাসি মানুষ।
বানভাসিদের মধ্যে নেই ঈদ আনন্দ। বরং অন্য সকলে যখন উৎসবে মেতেছে, তখন বন্যাদুর্গতরা ব্যস্ত টিকে থাকার সংগ্রামে। ঘর হারিয়ে অনেকেই এখন আশ্রয়হীন। কেউবা হারিয়েছেন ধান, আসবাবপত্র কিংবা কাজের সুযোগ। ভবিষ্যত নিয়েই দুঃশ্চিন্তায় থাকা এই মানুষদের কাছে ঈদেও আলাদা কোন বিশেষত্ব নেই।
ভক্সপপ :
ঈদের দিন আশ্রয়কেন্দ্রে ভালো খাবার বিতরণের ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন।
পানি নেমে গেলে আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে।
বানভাসিদের সহায়তার সবকিছু করার ঘোষণা দিয়ে সিটি মেয়র জানালেন, নিজেও এবার ঈদ আনন্দ করছেন না।
দ্রুত পানি নামবে-আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে বানবাসীরা; এটাই সবার প্রত্যাশা।