সিলেটের বন্যার পানিতে ভেসে এসেছে বিষধর সাপ
- আপডেট সময় : ১১:৫৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২
- / ১৬৪৬ বার পড়া হয়েছে
সিলেটে বন্যার পানি নেমে গেলেও বন্যা কবলিত এলাকায় মাঠে-ঘাটে পুকুর-জলাশয়ে প্রকাশ্যে বিষধর সাপের বিচরণ বেড়েছে। সাপের কামড়ে একাধিক লোক মারা যাওয়ায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে মানুষ। এসব পাহাড়ী সাপ বন্যার পানিতে ভেসে এসেছে ভারতীয় অঞ্চল থেকে। চিকিৎসকরা বলছেন, এই সাপে কামড় দিলে, সঙ্গে-সঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হবে। ক্ষতস্থানের উপরে কিংবা অন্য কোথাও রশি দিয়ে বাঁধা যাবে না।
সিলেটে বিভিন্ন এলাকায় পুকুর জলাশয়ে এভাবেই প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে বিষধর সাপের বিচরণ। বেড়েছে সাপের ছোঁবলে মৃত্যুর ঘটনা।
বানের পানির সঙ্গে ভেসে আসা কচুরি পানার স্তুপ লেগে আছে রাস্তার পাশে, পুকুর জলাশয়,হাওর-বাওর ও বাড়ির আঙ্গিনায়। আটকে থাকা কচুরি স্তুপে বাসা বেধেছে বিষধর নানা রকম সাপ। বিচরণ করছে প্রকাশ্যে। রাতে ঢুকে পড়ে ঘর-বাড়িতে। এতে আতংকিত নারী-শিশুসহ সর্বস্তরের মানুষ।
সিলেট ও মৌলভীবাজারের বন্যা কবলিত এলাকায় বিষধর সাপের কামড়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলায় সাপের কামড়ে আহত এক নারী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। চিকিৎসকরা সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেও জনমনে ভীতি কাটছে না।
বন্যার সময় বাসস্থানহীন হয়ে সাপ উঁচু স্থানে আশ্রয় নেয়। এসময় তারা ঘরে ঢুকে পড়ে এবং রাস্তায়ও বিচরণ করে। একারেণ সতর্কভাবে চলাফেরার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তারা বলেন, দেশে ৮২ প্রজাতির মধ্যে ৭৮ প্রজাতিই সাপই বিষধর।
বিষধর সাপ কামড় দিলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে যাবার পরামর্শ দিয়ে, মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন বলেন, ক্ষত স্থানের উপরে কিংবা অন্য কোথাও রশি দিয়ে বাধা যাবে না। বাধলে ওই হাত বা পাঁ অকেজো হয়ে যেতে পারে।
সাপের উপদ্রপ বাড়ায় সবাইকে সতর্কতার সাথে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছেন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ।