০৯:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪

সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে তোলপাড়

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:১৯:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১
  • / ১৫০৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়ে গেল কয়েকদিন ধরে তোলপাড় চলছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সিন্ডিকেটে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভর্তি পরীক্ষায় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে এমন তথ্য সরবরাহের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ ও আরেক শিক্ষককে দেয়া অনিয়মতান্ত্রিক পদোন্নতি স্থগিত করায় কতিপয় শিক্ষকদের একটি পক্ষের চাপের মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য বলছেন সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে যাবে, কারো প্রতি কোন অবিচার করা হবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয় যে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও এক শিক্ষার্থী ১২ তম হয়েছেন। পরে তদন্তে উঠে আসে, জালিয়াতি নয় ভর্তি পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট ভুল করে পূরনেই ঘটেছিল এমন কান্ড।

এমন সংবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্য হয়েছে, তাই ‘ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তথ্য সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে তৎকালীন শিক্ষক সমিতি ও বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের মানববন্ধন করে বিচারের দাবি করলে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। এতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তথ্য সরবরাহ কারী হিসেবে নাম উঠে আসে ওই পরীক্ষায় বি-ইউনিটের প্রবেশপত্র বাছাই কমিটির দায়িত্বে থাকা সদস্য সচিব এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার নাম। তবে, এ ঘটনার সাথে তিনি জরিত নন বলে দাবি অভিযুক্ত শিক্ষক মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার। এঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন গনমাধ্যমসহ সবাইকে জানানোর আহবান জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে অপর শিক্ষক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম বলছেন আবেদনপত্রে ‘টু রেজিস্ট্রার’ না থাকায় তার পদোন্নতি স্থগিত করা হয়েছে। শিক্ষক বান্ধন একটি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার সম্মান আবারও ফিরিয়ে দিবেন বলে দাবি জানিয়েছেন তিনি। তবে উপচার্য বলছেন, ৬৮তম সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন না করায় শিক্ষকের পদোন্নতি স্থগিত করা হয়েছে, এছাড়া শিক্ষকদের দাবির প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের আলোকে ও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নিয়ম মেনেই অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

অভিযোগ আছে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালিয়ের সব ভিসির শেষ সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে ভিসি ও প্রশাসনকে হেয় করতে চাপ প্রয়োগ করে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গ্রুপগুলো। বর্তমানে চলা অস্থিরতাকেও এমনই একটি অপপ্রয়াস হিসেবে দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট অনেকে।

 

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে তোলপাড়

আপডেট সময় : ০২:১৯:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১

সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়ে গেল কয়েকদিন ধরে তোলপাড় চলছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সিন্ডিকেটে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভর্তি পরীক্ষায় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে এমন তথ্য সরবরাহের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ ও আরেক শিক্ষককে দেয়া অনিয়মতান্ত্রিক পদোন্নতি স্থগিত করায় কতিপয় শিক্ষকদের একটি পক্ষের চাপের মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য বলছেন সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে যাবে, কারো প্রতি কোন অবিচার করা হবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয় যে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ না নিয়েও এক শিক্ষার্থী ১২ তম হয়েছেন। পরে তদন্তে উঠে আসে, জালিয়াতি নয় ভর্তি পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট ভুল করে পূরনেই ঘটেছিল এমন কান্ড।

এমন সংবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্য হয়েছে, তাই ‘ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তথ্য সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে তৎকালীন শিক্ষক সমিতি ও বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের মানববন্ধন করে বিচারের দাবি করলে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। এতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তথ্য সরবরাহ কারী হিসেবে নাম উঠে আসে ওই পরীক্ষায় বি-ইউনিটের প্রবেশপত্র বাছাই কমিটির দায়িত্বে থাকা সদস্য সচিব এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার নাম। তবে, এ ঘটনার সাথে তিনি জরিত নন বলে দাবি অভিযুক্ত শিক্ষক মাহবুবুল হক ভূঁইয়ার। এঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন গনমাধ্যমসহ সবাইকে জানানোর আহবান জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে অপর শিক্ষক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম বলছেন আবেদনপত্রে ‘টু রেজিস্ট্রার’ না থাকায় তার পদোন্নতি স্থগিত করা হয়েছে। শিক্ষক বান্ধন একটি সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার সম্মান আবারও ফিরিয়ে দিবেন বলে দাবি জানিয়েছেন তিনি। তবে উপচার্য বলছেন, ৬৮তম সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন না করায় শিক্ষকের পদোন্নতি স্থগিত করা হয়েছে, এছাড়া শিক্ষকদের দাবির প্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের আলোকে ও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক নিয়ম মেনেই অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

অভিযোগ আছে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালিয়ের সব ভিসির শেষ সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে ভিসি ও প্রশাসনকে হেয় করতে চাপ প্রয়োগ করে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গ্রুপগুলো। বর্তমানে চলা অস্থিরতাকেও এমনই একটি অপপ্রয়াস হিসেবে দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট অনেকে।