সাহাদাৎ হোসেন খানের আতঙ্কে সাভার আশুলিয়ার ভূমি মালিকরা
- আপডেট সময় : ০২:৩১:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী ২০২১
- / ১৫১৬ বার পড়া হয়েছে
নানা উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে সাভার আশুলিয়ার ভূমি মালিকদের। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহাদাৎ হোসেন খানের ভূমি দস্যুতায় যে কোনো সময় হারাতে পারেন ভিটেমাটি। এমন আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন তারা। এমনই একজন এম এ মতিন। গত অক্টোবর মাসের ৩ তারিখে তার বাড়িতে হামলা চালায় শাহাদাৎ বাহিনী। এরপর থেকে বাড়ির পাশের জমি দখল করে নেয় সে। তবে শাহাদাতের অভিযোগ, সেই জমি তিনিই কিনেছেন। তার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
সময় ৩ অক্টোবর ২০২০ সন্ধ্যা ৬ টা। সিসি ক্যামেরার এই ফুটেজে দেখা যায়। কিছু দুর্বৃত্ত আশুলিয়ার বাইপাইলে এম এ মতিনের বাড়িতে হামল চালায়। এই হামলায় সরাসরি নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাভার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসনে খান। এম এ মতিনের বাড়িতে ককটেলও নিক্ষেপ করে তারা।
ঘটনার এক পর্যায়ে থানা পুলিশ আসে ঘটনাস্থলে। সাথে রেব এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আশুলিয়া থানার ওসি তদন্ত এবং এসআই এমদাদ হামলার ঘটনা তদন্ত করলেও উল্টো চাদাবাজির মামলা দেয়া হয় মতিনের বিরুদ্ধে।
হামলা- মামলার পরই এম এ মতিনের টিনসেট বাড়িটি দখলে নেয় সাহাদাত। কানাডা প্রবাসী মতিন বাড়িগুলো দেখভাল করতে তাসলিমা শেখ লিমাকে দায়িত্ব দিয়ে যান। এই কাগজেই সেই তথ্য প্রমান করে। কিন্তু লিমা সাহাতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে জমি জবর দখল করে।
জমির প্রকৃত মালিক এম এ মতিন জানান, ৮৯৬ দাগের ৫৯ শতাংশ জমি তিনি ক্রয় করেন মেজ মহসিন নামের এক লোক থেকে। এ সব দলিলের ভায়া দলিলও আছে তার কাছে।
তিনি জানান, তার বাড়ীতে হামলার বিচার চাওয়ার পরপরই সাহাদাত তার বাড়ি গুলো দখল করে নেয়।
সিংক: এম এ মতিন, ভূক্তভোগী।
এই টিনসেড বাড়িগুলোই এম এ মতিনের। কিন্তু বাড়ি এবং খালি জায়গা দখল করে বাড়ী নির্মাণ করছেন সাহাদাত। জানতে চাইলে শ্রমিকরা কেউ তার নাম বলতে চাননি। তবে দায়িত্বে থাকা এ লোক জানান, এগুলো সাহাদাতের। শাহাদাতের পক্ষে থেকে ফোন আসার কিছুক্ষর পর এসে বলে এগুলোর সাথে সাহাদাত জড়িত নেই। ঐ দিন হামলা এবং মামলা সম্পর্কে কথা বলেন, এম এ মতিনের কেয়ার টেকারসহ পরিবারের সদস্যরা।
এছাড়াও গত ৩১ ডিসেম্বর রাত ২ টা এবং ১ জানুয়ারী রাত ২ টায় সময় দুই দফায় ব্যবসায়ী এমএ মতিনের বাড়ীতে ফের ফের হামলা চালায় সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা। বাড়ীর কেয়ারটেকার ইয়াসিন জানান, সন্ত্রাসীরা বাড়ীর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ভাংচুর করে।ভক্সপপঃ ইয়াসিন মিয়া, বাড়ীর কেয়ারটেকার।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে সাহাতের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই জায়গাগুলো তিনি ক্রয় করে নিয়েছেন। তবে শাহাদাতের দেখানো দলিলগুলো চলতি বছরের সেপ্টম্বর ও অক্টোবরে করা হয়েছে। এম এ মতিন কিনেছেন ২০০৭ সালে আর দুই মাসেই জমিটি ৩ বার হাত বদল হয়। সেইসব দলিলে একই ধরনের স্বাক্ষর দেখা যায়।
তবে এস বিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি মিডিয়ায় কোনো কথা বলবেন না বলে জানিয়ে দেন।জনপ্রতিনিধিদের এমন কর্মকান্ড গ্রহণযোগ্য নয় জানিয়ে এর বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় এবং দুর্নীতি দমন কমিশনকে ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানান টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
এসব ঘটনায় কোনো আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর কেউ জড়িত থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমন।