সারাদেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু
- আপডেট সময় : ০৫:৩৩:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০২২
- / ১৫২৮ বার পড়া হয়েছে
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সারাদেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে পরিকল্পিতভাবে দৈনিক এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে। কোনো কোনো স্থানে তা দিনে দেড় থেকে দু’ঘণ্টাও হতে পারে। এদিকে, দিনের বেলায় তীব্র গরমে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে জনজীবন।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রাজশাহীতেও পালাক্রমে লোডশেডিং চলছে। তীব্র গরমে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রাজশাহীর মানুষ। সকালেই লোডশেডিংয়ের নতুর সিডিউল কার্যকর করে নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি-নেসকো। এর আগে, নেসকো তাদের ওয়েবসাইটে লোডশেডিংয়ের সিডিউল প্রকাশ করে। কিন্তু পাড়ামহল্লায় বিষয়টি প্রচারের কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় বেশির ভাগ মানুষই লোডশেডিংয়ের সময়সূচি জানতে পারেনি। তাছাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না ঘোষিত সিডিউল। হুটহাট করেই লোডশেডিং করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা।
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডসহ জেলার ১৩ উপজেলায় সকাল থেকেই ১ থেকে ২ ঘন্টা করে লোডশেডিং শুরু করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। গেলো রাতেই লোডশেডিংয়ের শিডিউল প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করে স্থানীয় বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ। তবে তীব্র গরমে বিদ্যুতের এমন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে জনজীবন।
যশোর শহরেও এলাকাভিত্তিক একঘন্টা করে দিনে সর্বোচ্চ ৪বার লোডশেডিংয়ের উদ্যোগে নিয়েছে বিতরণ সংস্থা ওজোপাডিকো। পল্লী বিদ্যুত সমিতি জানায়, সরবরাহ কম হলে প্রয়োজন অনুযায়ী লোডশেডিংয়ের উদ্যোগ নেয়া হবে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে চালানো হচ্ছে প্রচারণা।
এদিকে..কুড়িগ্রামে লোডশেডিং করা হচ্ছে কিছুক্ষণ পর পর। জেলা শহরে এ অবস্থা চলতে থাকলেও গ্রামাঞ্চলে পল্লী বিদ্যুতে অবস্থা একেবারেই খারাপ। অন্যদিকে, ভরা বর্ষা মৌসুমেও বৃষ্টি না হওয়ায় আমন আবাদে বৈদ্যুতিক সেচ নির্ভর হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। ঘন-ঘন লোড শেডিংয়ে ব্যাহত হয়েছে আমান ধান আবাদ।
বিদ্যুতের ঘাটতি মোকাবিলায় সারাদেশের মত পাবনাতেও শুরু হয়েছে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং। তবে অনেক এলাকায় নির্ধারিত সময়ের বাইরেও লোডশেডিং দেখা গেছে। পাবনা শহরে লোডশেডিং শুরু হয় সকাল আটটার দিকে।