ষোল বছর পর চট্টগ্রাম বন্দরে যুক্ত হচ্ছে নতুন কন্টেইনার টার্মিনাল
- আপডেট সময় : ০১:৪৫:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ জুলাই ২০২২
- / ১৫৯৬ বার পড়া হয়েছে
১৬ বছর পর চট্টগ্রাম বন্দরের বহরে যুক্ত হচ্ছে নতুন কন্টেইনার টার্মিনাল।
বছরে ৫ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সক্ষমতা রয়েছে নতুন টার্মিনালের।
বন্দরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অপারেশন পরিচালনার কথা থাকলেও শীঘ্রই অপারেটর নিয়োগের প্রক্রিয়া নেবে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দর ব্যবহারকারীদের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক অপারেটরের নিয়োগ ঠেকিয়ে, নতুন টার্মিনালটিও কব্জায় নিতে মরিয়া বর্তমান পরিচালনাকারীরা।
আর তা সম্ভব হলে, সক্ষমতা বৃদ্ধির বড় সুযোগ হারাবে চট্টগ্রাম বন্দর।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দরের কাছে পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল বা পিসিটি’র নির্মান কাজ শেষ। এখন উদ্বোধনের অপেক্ষা। তিনটি কন্টেইনার ও একটি ডলফিন জেটিতে পণ্য বোঝাই কন্টেইনার ওঠা-নামা ছাড়াও আমদানী করা তেল খালাস করা যাবে। এতে গতি আসবে বন্দর অপারেশনে।
আধুনিক যন্ত্রাংশের অভাবে এতোদিন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃত কোন টার্মিনাল অপারেটর আসতে চায়নি বাংলাদেশে। কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত পিসিটিতে সৌদি আরবের রেড সী গেটওয়ে, ডিপি ওয়ার্ল্ড, প্রিমুলারসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক টার্মিনাল অপারেটর প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে।কিন্তু তাদের হটিয়ে, বন্দরের অন্য টার্মিনালের মতো পিসিটিকে নিজেদের জিম্মায় রাখতে মরিয়া একটি পক্ষ।
শিপিং এজেন্টরা বলছেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে মনোপুলি ব্যবসার লাগাম টানতে বিদেশি প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্তির বিকল্প নেই।
বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, শুরুতে বন্দরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অপারেশন চালানো হবে। তবে সরকারের নীতিনির্ধারনী পর্যায় থেকে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।
৩২ একর জমির ওপর ১২২৯ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত টার্মিনালটিতে ১৯০ মিটার আয়তনের এক সঙ্গে চারটি জাহাজ নোঙ্গর করা যাবে। মোহনার কাছে হওয়ায় জাহাজ যাতায়াতে সময় লাগবে আগের চেয়ে অর্ধেক। তাই সঠিকভাবে পরিচালনা করা গেলে, জাতীয় অর্থনীতিতে গতি আনবে এই টার্মিনাল।