লোডশেডিং ও তাপদাহে চ্যালেঞ্জের মুখে দেশের চা শিল্প
- আপডেট সময় : ০১:৪৫:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ জুলাই ২০২২
- / ১৫৩৫ বার পড়া হয়েছে
লোডশেডিং ও তাপদাহের কারণে ভরা মৌসুমে চ্যালেঞ্জের মুখে দেশের চা শিল্প। ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন। ফলে এবার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয় বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে চায়ের গুণগত মান নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন বাগান মালিকরা। তাদের আশঙ্কা, এর প্রভাব পড়বে রপ্তানি বানিজ্যে। লোকসান গুণতে হতে পারে প্রতিটি বাগানকে।
লোডশেডিং আর তাপদাহে বড় ধাক্কা খাচ্ছে দেশের চা শিল্প। শ্রাবণের শেষ সপ্তাহ থেকে চা মৌসুমের মহেন্দ্রক্ষণ। কিন্তু টানা খরা আর লোডশেডিংয়ে এবার উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পড়ছে দেশের ১৬৭টি চা বাগানে।
চা শিল্পে জড়িতরা বলছেন, জুলাই থেকে অক্টোবর চা উৎপাদনের মৌসুম। এসময় প্রতিটি বাগানের ফ্যাক্টরিতে প্রক্রিয়াজাতের জন্য ক্ষেত্র ভেদে পাঁচ হাজার থেকে ৭০ হাজার কেজি চা পাতা আসে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে কাঁচা পাতা প্রক্রিয়াজাত করতে সমস্যায় পড়ছেন বাগান মালিকরা। যার প্রভাব পড়বে রপ্তানি বাজারে।
উৎপাদন কম হওয়ায় এবার নিলাম বাজারে চায়ের দাম বাড়ছে। আগামীতে উৎপাদন না বাড়লে, সংকট আরো বাড়বে।
খরা ও পোকাড়র আক্রমণের পর লোডশেডিং চা উৎপাদনে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলে জানালেন বাগান সংশ্লিষ্টরা।
খরা বিদুৎ সংকটসহ নানা কারণে এবার চা উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয় বলে মনে করেন গবেষকরা।
মৌসুমের শুরুতে দাবদাহ ও খরা, জুন মাসে অতিবৃষ্টি আর এখন লোডশেডিংয়ের কারণে চা উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে এবং গুণগত মান কমে যাচ্ছে বলে মনে করছেন চা উৎপাদকরা।
দ্রুত সংকট কাটিয়ে চা শিল্প আবার ঘুরে দাঁড়াবে–এমন প্রত্যাশা সকলের।