রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিতে পাকিস্তানে পানি বিপজ্জনক উচ্চতায়; লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বেঙ্গালুরু
- আপডেট সময় : ০২:৩৫:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৫৪৮ বার পড়া হয়েছে
কয়েক দিনের রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিতে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের বৃহত্তম হ্রদের পানি বিপজ্জনক উচ্চতায় উঠে গেছে। শহর রক্ষায় হ্রদের বাঁধ কেটে দেয়া হলে নিকটবর্তী পাঁচ ইউনিয়নের কয়েকশ গ্রাম তলিয়ে ১ লাখেরও বেশি বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ার মুখে পড়েন।
পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, চলমান ভয়াবহ বন্যায় এ পর্যন্ত ৪৫৮ শিশুসহ ১ হাজার ৩১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অন্তত ১০ বিলিয়ন ডলার।
পাকিস্তানের প্রাদেশিক সেচমন্ত্রী জানান, বাঁধ কেটে দেয়ার পরও হ্রদে পানির স্তর ‘কমেনি’। পাকিস্তানের খাদ্য সরবরাহের অর্ধেকই উৎপন্ন হয় সিন্ধু প্রদেশে, এখন এই প্রদেশ ভয়াবহ বন্যায় ভাসতে থাকায় ইতোমধ্যেই অর্থনৈতিক সংকটে ভুগতে থাকা পাকিস্তান গুরুতর খাদ্যসংকটের মুখোমুখি হতে পারে বলে শঙ্কা আরও ঘনীভূত হচ্ছে।
লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বেঙ্গালুরু। শহরের প্রায় সব রাস্তাই এখন নদী। বন্যার কারণে বেঙ্গালুরুর একাধিক এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। পানির পাম্প ডুবে যাওয়ায় শহরের কিছু কিছু এলাকায় খাবার পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না।
এ সংকট ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। খাবার পানি ও বিদ্যুৎ না থাকায় দুর্ভোগে রয়েছেন অভিজাত এলাকার বাসিন্দারাও।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বন্যাবিধ্বস্ত বেঙ্গালুরুর পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। গত তিন দিন ধরে কার্যত ভাসছে তথ্যপ্রযুক্তি নগরী। বেহাল যাতায়াত ব্যবস্থা। এমনকি রাস্তায় নৌকাও নামাতে দেখা গেছে।
কেউ আবার কোমর পানিতে ট্রাক্টরে চেপে কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছেন। প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জনজীবন। শহরের সব থেকে অভিজাত আবাসিক এলাকা এপসিলন। যেখানে এক একর জমির দাম ৮০ কোটি টাকা।
একটি ফ্লাটের দাম ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকা। বন্যার পানি এই এলাকাতেও প্রবেশ করেছে। সেখানেও নেই পানি ও বিদ্যুৎ। বন্যাকবলিত প্রায় ৫০টি এলাকায় দুইদিন খাবার পানি সরবরাহ বন্ধ।