রাজশাহীতে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে রোগীরা হয়রানির শিকার
- আপডেট সময় : ০১:৪৬:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই ২০২০
- / ১৫০৫ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীতে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে জীবন বাঁচাতে অক্সিজেনের সিলিন্ডার নিয়ে ছুটোছুটি করতে হয় রোগীদেরকেই। বিপদাপন্ন অবস্থাতেও রোগীর কাছে এগিয়ে আসেন না হাসপাতালের নার্স কিংবা স্টাফরা। আর চিকিৎসকরা নিজেদের নিরাপত্তার অজুহাতে সবসময়ই থাকেন নিরাপদ দুরত্বে। পুরনো ভবনে অন্ধকারাচ্ছন্ন ও ভুতুড়ে পরিবেশে করোনার চিকিৎসাসেবা নিতে এসে পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছেন রোগীরা।
রাজশাহীর খ্রিস্টিয়ান মিশন হাসপাতাল, যা এখন করোনা রোগীদের জন্য ডেডিকেটেড। করোনা উপসর্গ নিয়ে এখানেই ভর্তি হয়েছেন মোর্শেদা বেগমের স্বামী। তীব্র শ্বাসকষ্ট হওয়ায় স্বামীকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা তার। তাই নিচতলা থেকে অক্সিজেনের সিলিন্ডার দু’তলায় টেনে হেঁচড়ে তুলছেন তিনি একাই। সংকটময় মুহূর্তেও মোর্শেদা বেগমকে সহযোগিতায় এগিয়ে আসে নি হাসপাতালের নার্স কিংবা স্টাফরা।ডেডিকেটেড এই হাসপাতালের অন্ধকারাচ্ছন্ন ও ভুতুড়ে পরিবেশই জানান দিচ্ছে-এখানকার চিকিৎসাব্যবস্থাপনার হাল। রোগীদের অভিযোগ- তারা দেখা পান না চিকিৎসকদের। আর দূর থেকে কেবল কথা বলা ছাড়া কোনো সহযোগিতাতেই আসেন না নার্সরাও। মাকড়সার জাল, স্যাঁতসেতে পরিবেশ আর দুর্গন্ধে টেকায় দায় ওয়ার্ডগুলোতে। রোগী ও স্বজনদের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও বালাই নেই এই হাসপাতালে।
ডেডিকেটেড হাসপাতালে এমন অব্যবস্থাপনার কারণ জানতে চাইলে প্রথমে বিস্ময়ভরা কণ্ঠে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক। পরে অবশ্য তিনি স্বীকার করে বলেন, প্রায় তিন মাস ধরে দায়িত্ব পালন করলেও নিজেও কখনো যান নি হাসপাতালে। রোগীদের অভিযোগ সরাসরি নাকোচ করে দিলেও দায়িত্ব পালনে চিকিৎসকদের অবহেলার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন । এবিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার জানান, ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে খ্রিস্টিয়ান মিশন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক। কারো কোনো অভিযোগ থাকলে খণ্ডাতে হবে তাকেই।রোগিদের অভিযোগ নিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া দেন নি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক।