০৭:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’র স্মৃতি রক্ষায় অডিটরিয়াম ও ভবন নির্মাণের দাবি

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৭:১৯:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১৫৯৬ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সেতার, সানাই এবং রাগ সঙ্গীতে বিখ্যাত ঘরানার গুরু হিসাবে সারা বিশ্বে প্রখ্যাত ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ। জন্ম ও মৃত্যু দিবস ছাড়া উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এ সঙ্গীতসাধকের খোঁজ রাখে না কেউ। বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করলেও এলাকায় তার স্মৃতি রক্ষায় তেমন কিছুই করা হয় নি। সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসন তাঁর বাবা-মা ও বোনের কবর সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে। তাঁর স্মৃতি রক্ষায় আলাউদ্দিন স্মৃতি পরিষদ ও এলাকাবাসী অডিটরিয়াম ও ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছে।

৬ সেপ্টেম্বর ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’র মহাপ্রয়াণ দিবস। উপমহাদেশের প্রখ্যাত এই সঙ্গীতাসাধক ১৮৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বিভিন্ন রাগ সংগীতের স্রষ্টা ও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের গুরু ছিলেন তিনি।

ডাকনাম ছিল আলম। ছোটবেলায় ফকির আফতাবউদ্দিন খাঁর কাছে সঙ্গীতে হাতেখড়ি তাঁর। সুরের সন্ধানে দশ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে এক যাত্রাদলের সঙ্গে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ান। ওই সময়ই জারি, সারি, বাউল, ভাটিয়ালি, কীর্তন, পাঁচালি প্রভৃতি গান আয়ত্ব করেন। পরে কলকাতা গিয়ে সঙ্গীত সাধক গোপাল কৃষ্ণ ভট্টাচার্যের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। ফিরে আসেন ১২ বছর পর।

বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করলেও এলাকায় তার স্মৃতি রক্ষায় তেমন কিছুই করা হয় নি। জন্ম ও মৃত্যু দিবস ছাড়া শ্রেষ্ঠ এ সঙ্গীত সাধকের খোঁজ রাখে না কেউ। মহান এই সুরসাধকের স্মৃতি রক্ষায় সরকারী পৃষ্ঠোপোষকতা চান স্থানীয়রা। সে সাথে একটি অডিটরিয়াম ও ভবন নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। পাশাপাশি তার কবর ভারত থেকে দেশে স্থানান্তরের দাবিও জানানো হয়।

১৯৩৫ সালে ইংল্যান্ডের রানী কর্তৃক সুরসম্রাট খেতাবপ্রাপ্ত হন তিনি। ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাব পদ্মভূষণ ছাড়াও পদ্মবিভূষণ, বিশ্ব ভারতীয় দেশীকোত্তমসহ দিল্লি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাভ করেন সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি। ১৯৭২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের মাইহারে মৃত্যু হয় তাঁর।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’র স্মৃতি রক্ষায় অডিটরিয়াম ও ভবন নির্মাণের দাবি

আপডেট সময় : ০৭:১৯:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

সেতার, সানাই এবং রাগ সঙ্গীতে বিখ্যাত ঘরানার গুরু হিসাবে সারা বিশ্বে প্রখ্যাত ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ। জন্ম ও মৃত্যু দিবস ছাড়া উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এ সঙ্গীতসাধকের খোঁজ রাখে না কেউ। বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করলেও এলাকায় তার স্মৃতি রক্ষায় তেমন কিছুই করা হয় নি। সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসন তাঁর বাবা-মা ও বোনের কবর সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে। তাঁর স্মৃতি রক্ষায় আলাউদ্দিন স্মৃতি পরিষদ ও এলাকাবাসী অডিটরিয়াম ও ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছে।

৬ সেপ্টেম্বর ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’র মহাপ্রয়াণ দিবস। উপমহাদেশের প্রখ্যাত এই সঙ্গীতাসাধক ১৮৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বিভিন্ন রাগ সংগীতের স্রষ্টা ও উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের গুরু ছিলেন তিনি।

ডাকনাম ছিল আলম। ছোটবেলায় ফকির আফতাবউদ্দিন খাঁর কাছে সঙ্গীতে হাতেখড়ি তাঁর। সুরের সন্ধানে দশ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে এক যাত্রাদলের সঙ্গে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ান। ওই সময়ই জারি, সারি, বাউল, ভাটিয়ালি, কীর্তন, পাঁচালি প্রভৃতি গান আয়ত্ব করেন। পরে কলকাতা গিয়ে সঙ্গীত সাধক গোপাল কৃষ্ণ ভট্টাচার্যের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। ফিরে আসেন ১২ বছর পর।

বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জন করলেও এলাকায় তার স্মৃতি রক্ষায় তেমন কিছুই করা হয় নি। জন্ম ও মৃত্যু দিবস ছাড়া শ্রেষ্ঠ এ সঙ্গীত সাধকের খোঁজ রাখে না কেউ। মহান এই সুরসাধকের স্মৃতি রক্ষায় সরকারী পৃষ্ঠোপোষকতা চান স্থানীয়রা। সে সাথে একটি অডিটরিয়াম ও ভবন নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। পাশাপাশি তার কবর ভারত থেকে দেশে স্থানান্তরের দাবিও জানানো হয়।

১৯৩৫ সালে ইংল্যান্ডের রানী কর্তৃক সুরসম্রাট খেতাবপ্রাপ্ত হন তিনি। ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাব পদ্মভূষণ ছাড়াও পদ্মবিভূষণ, বিশ্ব ভারতীয় দেশীকোত্তমসহ দিল্লি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাভ করেন সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি। ১৯৭২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের মাইহারে মৃত্যু হয় তাঁর।