রপ্তানী পণ্য জাহাজীকরণের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর সংশ্লিষ্ট
- আপডেট সময় : ০৩:১১:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ জুলাই ২০২২
- / ১৫২৩ বার পড়া হয়েছে
রপ্তানী পণ্য জাহাজীকরণের চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর সংশ্লিষ্ট ১৮টি বেসরকারী কন্টেইনার ডিপো বা অফডক। প্রতিটি অফডকের সামনে পণ্যবোঝাই গাড়ির দীর্ঘ জট তৈরী হয়েছে। ৭ থেকে ১০ দিন অপেক্ষা করেও পণ্য নামানো যাচ্ছে না। অফডক কর্তৃপক্ষ বলছে, ঈদের আগে রপ্তানীকারকদের পণ্য জাহাজীকরণের চাহিদার বিপরীতে কন্টেইনার সংকট ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বিএম ডিপোর বাড়তি চাপ মোকাবিলা করতে গিয়ে, স্থবিরতা নেমেছে। বিজিএমইএ বলছে, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়হীনতার পাশাপাশি ডিপোর সক্ষমতা না বাড়ানোর খেসারত দিচ্ছে রপ্তানীকারকরা।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে ইসহাক কন্টেইনার ডিপোর সামনের চিত্র এটি। জাহাজিকরনের জন্য নিয়ে আসা রপ্তানী পণ্য বোঝাই গাড়িগুলো মহাসড়কের দু’পাশে দাড়িয়ে আছে দিনের পর দিন। মুল্যবান রপ্তানী পণ্য নিয়ে অরক্ষিত জায়গায় বসে আছেন গাড়ি চালক আর সহকারীরা। এর ওপর অবৈধ চাদাবাজি, চুড়ি ছিনতাই যেন নিত্য সঙ্গী।
ঈদের আগে পণ্য নামিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়েও সন্দিহান পণ্য পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
বেসরকারী কন্টেইনার মালিকদের সংগঠন বিকডা বলছে, ঈদ উপলক্ষে কল-কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় রপ্তানীকারকরা সবাই একসঙ্গে পণ্য পাঠিয়েছেন। এর ওপর গেল মাসে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বিএম কন্টেইনার ডিপোর বাড়তি চাপ সামলাতে গিয়ে সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
আর বিজিএমইএ বলছে, প্রতি ঈদেই এমন সংকটের সৃষ্টি হয়। কিন্তু এবার ছাড়িয়েছে সব রেকর্ড। বন্দর, বিকডা, শিপিং ও সিএন্ডএফের মধ্যে সমন্ময়হীনতার কারনেই উৎসবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জাতীয় অর্থনীতি।
বিএমডিপো ছাড়া ১৮ টি বেসরকারী কন্টেইনার ডিপো সম্মিলিতভাবে ৮০ হাজার কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করার সক্ষমতা আছে। যা ছাড়িয়ে গেছে আরো কয়েকদিন আগে। তবে ঈদের ছুটির মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।