মুসাতেই আটকে আছে চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যার রহস্য
- আপডেট সময় : ০১:৪৩:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মে ২০২১
- / ১৫০৬ বার পড়া হয়েছে
এখনো সেই মুসাতেই আটকে আছে চট্টগ্রামের চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যার রহস্য। পুলিশ বলছে নিজের সোর্স মুসাকে দিয়েই স্ত্রীকে হত্যা করিয়েছেন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার। আর বাবুলের পরিবারের দাবি তিনি ষড়যন্ত্রের স্বীকার। এখন এই রহস্যের জট খুলতে প্রয়োজন সিসিটিভির ফুটেজ অনুযায়ী এই হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্ব দেয়া পুলিশের কথিত সোর্স মুসার সন্ধান পাওয়া। যাকে এখনো পলাতক বলছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আর মুসার স্ত্রীর দাবি মিতু হত্যার ১৭ দিনের মাথায় পুলিশই তাকে গ্রেফতারের পর গুম করে রেখেছে।
কামরুল শিকদার মুসা। স্ত্রী মিতু হত্যাকান্ডের ঘটনায় গ্রেফতার সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের বিশ্বস্ত সোর্স হিসেবে পরিচিত ছিলো সিএমপিতে। ঘটনার দিন মিতুর পিছু নেয়া পরে খুনিদের সঙ্গে এক মটরসাইকেলে উঠে পালিয়ে যাওয়া সে। ঘটনার পরদিনই সিসিটিভির ফুটেজ দেখে মুসাকে শনাক্ত করলেও GFX-1 তা অস্বীকার করেন বাবুল। GFX-2 আর এখান থেকেই সন্দেহের তীরে বিদ্ধ হন বাবুল নিজেই।
৫ বছরের তদন্তে আরো অনেক তথ্য এসেছে যেখানে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে বাবুলের সম্পৃক্ততার জোরাশক্ত পোক্তো প্রমাণ আছে পুলিশের কাছে। কিন্তু চাক্ষুস প্রমাণ সেই মুসারই সন্ধান পায়নি পুলিশ।আর মুসার স্ত্রীর দাবি, মিতু হত্যার ১৭ দিনের মাথায় তার সামনে থেকেই গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে ডিবি পুলিশের সদস্যরা। এরপর থেকে এখনো মুসার খোঁজ পাননি তারা।
বাবুলের পরিবারের অভিযোগ, মিতু হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্ব দেয়া মুসাকে নিয়ে পুলিশের লুকোচুরি অন্য কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। এদিকে সিনিয়র আইনজীবীরা বলছেন, মুসার সম্পৃক্ততা, ডিবি পরিচয়ে তাকে গুম করার ঘটনা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে জনমনে। সমোলোচনা করেন পুলিশের শক্ত কোন বক্তব্য না থাকায়।
মুসার স্ত্রীর দাবি অনুযায়ী ২০১৬ সালের ২২ জুন নগরীর কাঠগর থেকে মুসাকে তুলে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ। ২৪ জুন রাতেই ঢাকার শশুরবাড়ি থেকে বাবুলকেও তুলে নিয়ে যায় ডিবি। ওই দিনই চাকরি থেকে অব্যহতি নেন বাবুল।