মিরসরাইয়ে ট্রেন-মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় নিহতদের জানাজায় মানুষের ঢল
- আপডেট সময় : ০১:২৭:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জুলাই ২০২২
- / ১৫২৬ বার পড়া হয়েছে
মিরসরাইয়ের খৈয়ারছড়া রেল গেইটে চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় নিহতদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। ছোট্ট একটি গ্রামের ১১টি বাড়িতে মরদেহ রেখে পুরো গ্রামটিই পরিণত হয়েছে শোকের জনপদে। সকালে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে মরদেহগুলো। স্বজনরা বলছেন, পরিবারের এই সদস্যদের ঘিরে অনেকেই উজ্জল ভবিষ্যতের প্রত্যাশায় ছিলেন। কিন্তু সামান্য অসাবধানতার কারণে মুহুর্তের হারিয়ে গেছে সবকিছু। আর প্রশাসন বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো পাশে থাকবেন তারা।
চট্টগ্রামের হাটহাজারীর চিকনদণ্ডি ইউনিয়নের খন্দকিয়া গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির সামনেই মরদেহবাহী এ্যাম্বুলেন্সের অপেক্ষা। ভেতরে স্বজনদের আহাজারী। শুধু নিহত পরিবারগুলোতেই নয়, পুরো গ্রামই পরিণত হয় এক শোকার্ত জনপদে।
নিহতদের সবাই পড়ালেখা শেষ করে কেউ যোগ দিতে চেয়েছিলেন সেনাবাহিনীতে, কেউবা বিদেশ গিয়ে চাকরি করে বাড়িতে ছোট্ট একটা বিল্ডিং তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। ছোট ছোট এমন ১১টি স্বপ্ন ঝরে গেছে মিরসরাইয়ের খৈয়ারছড়া রেল গেইট স্বজনদের শেষ দেখার পর জানাজার জন্য মরদেহগুলো একে একে নিয়ে আসা হয় খন্দকিয়া ছমদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে। ততক্ষণে জানাজায় অংশ নিতে আসা মানুষের ভিড়ে তিল ধারণের ঠাঁই নেই মাঠে। জানাজায় অংশ নেয়া প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের নেতা আশ্বাস দেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার।
জানাজা শেষে মরদেহ গুলো নিয়ে যাওয়া হয় কবরস্থানে। সেখানেই একে একে শেষ বিদায় জানান স্বজন ও প্রতিবেশিরা।
শুক্রবার চিকনদণ্ডি গ্রামের আর এন্ড জে কোচিং সেন্টারের ১৮ শিক্ষক-শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান উপলক্ষে দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে মিরসরাইয়ের খৈয়ারছড়া ঝর্ণায় বেড়াতে যান। ফেরার পথে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি চুরমার হয়ে নিহত হন ১১ জন। দুর্ঘটনায় আহত আরও ৭ সাত জনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।