দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র তিন বছরেই রংপুর নগরীকে অনেকটাই বদলে দিয়েছেন মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। বিশেষ করে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা, সুপেয় পানি ও টিকা কার্যক্রমসহ জনবান্ধব নানা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে নতুন চেহারা পেয়েছে উত্তরের এই গুরুত্বপূর্ণ নগরী। তবে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বা এসডিজি অর্জনে সিটি কর্পোরেশনের মাস্টারপ্ল্যান ও জনবল কাঠামো দ্রুত অনুমোদনসহ অর্থ বরাদ্দে আঞ্চলিক বৈষম্য কমিয়ে আনার তাগিদ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার বিশ্লেষকরা।

নিজ শহর রংপুরকে আধুনিক নগরীতে গড়ার কাজে প্রথম হাত দেয়া, সেই মহানায়ক- সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আজ চিরনিদ্রায় শায়িত। সাধারণ মানুষের উন্নয়নে তাঁর দেখানো স্বপ্ন নিয়ে রংপুরকে বদলে দিয়েছেন বর্তমান মেয়র মোস্তাফিজার রহমান। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে রংপুর সিটি নির্বাচনে মেয়র হয়ে ২০১৮ সালের আজকের দিনে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। মেয়রের আসনে বসেই মনোযোগ দেন উন্নয়ন ভাবনায়। গেল তিন বছরে নানা প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে এখন বদলে গেছে রংপুর নগরী।

উন্নয়ন বৈষম্যে পিছিয়ে পড়া এ নগরীতে সকল নাগরিক সুবিধা নিশ্চিতের লক্ষ্যে এরই মধ্যে কয়েকশ’ কোটি টাকার কাজও শেষ হয়েছে। সিটি মেয়র আরো জানান, অর্থ বরাদ্দের অভাবে উন্নয়ন পিছিয়ে থাকায় সিটি কর্পোরেশনে যুক্ত হওয়া নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে এখনো বসানো হয়নি হোল্ডিং ট্যাক্স। নতুন জনবল কাঠামো অনুমোদন না হওয়ায় পৌরসভার জনবল দিয়েই চলছে কার্যক্রম।

এদিকে, স্থানীয় সরকার বিশ্লেষকরা বলছেন, আমলতান্ত্রিক জটিলতায় উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হলে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন করা সম্ভব হবে না। ১৯৮৬ সালের সেপ্টেম্বরে এরশাদ সরকারের সময়ে রংপুর পৌরসভাকে ‘ক’ শ্রেণীতে উন্নীত করা হয়। আর সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরিত হয় ২০১২ সালে।