ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শেরপুর কবরস্থানে মাটি খুঁড়লেই মিলছে গলিত বা অক্ষত হাড়-গোড়। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাই কবরস্থানে মরদেহ দাফন বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। কবরস্থান সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

গত আড়াই’শ বছর ধরে মরদেহ দাফন করা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বাইপাস সড়কে শেরপুর কবরস্থানে। শহরের ২৪টি পাড়া-মহল্লার অন্তত তিন/চার লাখ বাসিন্দার মৃতদেহ দাফন করা হয় এখানে। মীর শাহাবুদ্দিন (র:) ওয়াকফ এস্টেটের আওতাধীন কবরস্থানটির জায়গার পরিমান মাত্র ৫২ শতক।

মাজার-মসজিদ-মাদ্রাসা ও বাইপাস সড়কের পাশে হওয়ায়, এটি শহরবাসীর প্রথম পছন্দ। প্রতিদিনই ৫/৬টি মরদেহ দাফন করা হয়। সম্প্রতি দেখা গেছে মরদেহ জৈবিক প্রক্রিয়ায় নিঃশেষ হতে প্রয়োজনীয় সময় পাচ্ছেনা। এতে নতুন কবরেই আবারো দাফন করতে হচ্ছে। তাই কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে কবর দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

ইতোমধ্যে এর সম্প্রসারনে আরো ৬২শতক জায়গা কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান, সংশ্লিষ্টরা।

কবরস্থান সম্প্রসারণে সার্বিক সহায়তার কথা জানান, জেলা প্রশাসক।

কার্যকর উদ্যোগের ফলে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করে স্থানীয়রা।