নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ, সংঘর্ষ ও হরতালের পর এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। আইন-শৃঙখলা রক্ষায় ১০ প্লাটুন বিজিবির টহল এবং শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ও এবিপিএন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। রেলস্টেশনে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের পর ট্রেন চলাচল আবার শুরু হলেও অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্রাগ্মণবাড়িয়া স্টেশনে সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতি বাতিল করা হয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

জনসমাগম আর কোলাহলে মুখরিত রেলস্টেশনটি কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে তছনছ। চারদিক আগুনে পোড়া গন্ধই এখন স্টেশনের দু:সহ স্মৃতি। নরেন্দ্র মোদীর সফরের বিরোধিতা করে ডাকা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশনের প্যানেল বোর্ড, সিগন্যাল সিস্টেম, টিকেট কাউন্টার এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে ব্যাপক ভাংচুর শেষে অগ্নিসংযোগ করে।

সিগন্যাল ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়ায় শনিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই স্টেশনে অনিদির্ষ্টকালের জন্য সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি বাতিল করা হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন এই রুটে চলাচলকারী হাজার হাজার যাত্রী।

ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাষ্টার মোহম্মদ শোয়েব জানান, ইতোমধ্যে লাইনের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তালশহর ও পাঘাচং স্টেশেনের লাইন ক্লিয়ারিংয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হবে ট্রেন।

এদিকে, সোমবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিটি ঘটনার জন্য মামলা হবে এবং তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পরবর্তী অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে ১৩ প্লাটুন বিজিবির পাশাপাশি ১৫০০ পুলিশ ও চার শতাধিক এপিবিএন সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।