০১:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

বন্যা আর তাপদাহে ঈদ মৌসুমেও সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রে ভাটা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৩:০৬:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০২২
  • / ১৫২১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বন্যা ও তাপদাহের কারণে ঈদের ছুটিতে এবার সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রে তেমন উপস্থিতি ছিলো না পর্যটকদের। তবে পর্যটনের অফুরন্ত সম্ভাবনাময় সিলেটে প্রকৃতির নির্মল ছোঁয়া পেতে এখন আবার বাড়তে শুরু করেছে পর্যটক সংখ্যা। তারা ঘুরছেন বিভিন্ন স্পটে। পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পর্যটকের নিরাপত্তাসহ অনুকূল পরিবেশ পেলে, এ খাত আবার ঘুরে দাঁড়াবে। প্রশাসন বলছে, পর্যটন খাতের উন্নয়ন ও পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছেন তারা।

স্বচ্ছ নীল জলরাশি, পাহাড়ে মেঘের লুকোচুরি, দিগন্ত বিস্তীর্ণ হাওরে শান্ত জল, পাল তোলা নৌকা, পাখির কলতান, পাহাড়ে জুম চাষ, হিজল করচের সারি, ভিন্ন ভাষার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বৈচিত্রময় সংস্কৃতিসহ হরেক রকম জৌলুসে ভরপুর সিলেট। সারা বছর ধরে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকে সিলেট।

এবার স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা ও তাপদাহের কারণে, ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের উপস্থিতিতে ভাটা পড়ে যায়। বিলম্বে হলেও আবার ভ্রমণ পিপাসুরা সিলেটমুখি হতে শুরু করেছে। কিন্তু পর্যটন এলাকায় থাকা খাওয়ার তেমন সুবিধা না থাকা এবং দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে।

প্রতিদিন পর্যটকের সমাগম বাড়লেও বিধ্বস্ত রাস্তার কারণে বিছনা কান্দিতে বেড়াতে আসা পর্যটকরা পড়ছেন চরম বিপাকে। পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সমস্যা সত্ত্বেও পর্যটকদের পদচারণায় মুখর সিলেট ও মৌলভীবাজারের আবাসিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট এবং গেস্ট হাউস। অনেকে ভ্রমণে এসে কোথাও থাকার ব্যবস্থা করতে না পেয়ে, পর্যটন স্পট দেখেই ফিরে যাচ্ছেন।

গোয়াইনঘাটের সবকটি পর্যটন স্পটে পরিবার-পরিজন নিয়ে সমবেত হাজারো পর্যটক। জাফলং, মায়াবী ঝরনা, রাতারগুল, সাদাপাথর ও কোম্পানীগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাইটেক পার্ক, লালাখাল, সিলেট নগরীর ধোপাদিঘী, এমএজি ওসমানী শিশু পার্ক ও শহরতলীর দক্ষিণ সুরমায় শেখ হাসিনা শিশু পার্কে পর্যটকদের ভিড়। মৌলভীবাজারের মাধবকুন্ড জলপ্রপ্রাত,হামহাম জলপ্রপ্রাত, লাউয়াছড়া, মাধবপুর লেকসহ নানা স্পটে ঘুরছেন পর্যটকরা।

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি অবকাঠামোগত সুবিধা নিশ্চিত করা হলে পর্যটনের আরও প্রসার ঘটবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ী নেতারা।

পর্যটকদের নিরাপত্তায় জেলা ও ট্যুরিস্ট পুলিশ সঙ্গে সমন্বয় করে প্রশাসন কাজ করছে বলে জানালেন সিলেটের জেলা প্রশাসক।

দু’টি পাতার একটি কুড়ির সিলেট অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি। আবার তা পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হবেএমনটাই প্রত্যাশা সবার।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বন্যা আর তাপদাহে ঈদ মৌসুমেও সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রে ভাটা

আপডেট সময় : ০৩:০৬:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০২২

বন্যা ও তাপদাহের কারণে ঈদের ছুটিতে এবার সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রে তেমন উপস্থিতি ছিলো না পর্যটকদের। তবে পর্যটনের অফুরন্ত সম্ভাবনাময় সিলেটে প্রকৃতির নির্মল ছোঁয়া পেতে এখন আবার বাড়তে শুরু করেছে পর্যটক সংখ্যা। তারা ঘুরছেন বিভিন্ন স্পটে। পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পর্যটকের নিরাপত্তাসহ অনুকূল পরিবেশ পেলে, এ খাত আবার ঘুরে দাঁড়াবে। প্রশাসন বলছে, পর্যটন খাতের উন্নয়ন ও পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছেন তারা।

স্বচ্ছ নীল জলরাশি, পাহাড়ে মেঘের লুকোচুরি, দিগন্ত বিস্তীর্ণ হাওরে শান্ত জল, পাল তোলা নৌকা, পাখির কলতান, পাহাড়ে জুম চাষ, হিজল করচের সারি, ভিন্ন ভাষার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বৈচিত্রময় সংস্কৃতিসহ হরেক রকম জৌলুসে ভরপুর সিলেট। সারা বছর ধরে পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকে সিলেট।

এবার স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা ও তাপদাহের কারণে, ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের উপস্থিতিতে ভাটা পড়ে যায়। বিলম্বে হলেও আবার ভ্রমণ পিপাসুরা সিলেটমুখি হতে শুরু করেছে। কিন্তু পর্যটন এলাকায় থাকা খাওয়ার তেমন সুবিধা না থাকা এবং দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে।

প্রতিদিন পর্যটকের সমাগম বাড়লেও বিধ্বস্ত রাস্তার কারণে বিছনা কান্দিতে বেড়াতে আসা পর্যটকরা পড়ছেন চরম বিপাকে। পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সমস্যা সত্ত্বেও পর্যটকদের পদচারণায় মুখর সিলেট ও মৌলভীবাজারের আবাসিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট এবং গেস্ট হাউস। অনেকে ভ্রমণে এসে কোথাও থাকার ব্যবস্থা করতে না পেয়ে, পর্যটন স্পট দেখেই ফিরে যাচ্ছেন।

গোয়াইনঘাটের সবকটি পর্যটন স্পটে পরিবার-পরিজন নিয়ে সমবেত হাজারো পর্যটক। জাফলং, মায়াবী ঝরনা, রাতারগুল, সাদাপাথর ও কোম্পানীগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাইটেক পার্ক, লালাখাল, সিলেট নগরীর ধোপাদিঘী, এমএজি ওসমানী শিশু পার্ক ও শহরতলীর দক্ষিণ সুরমায় শেখ হাসিনা শিশু পার্কে পর্যটকদের ভিড়। মৌলভীবাজারের মাধবকুন্ড জলপ্রপ্রাত,হামহাম জলপ্রপ্রাত, লাউয়াছড়া, মাধবপুর লেকসহ নানা স্পটে ঘুরছেন পর্যটকরা।

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি অবকাঠামোগত সুবিধা নিশ্চিত করা হলে পর্যটনের আরও প্রসার ঘটবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ী নেতারা।

পর্যটকদের নিরাপত্তায় জেলা ও ট্যুরিস্ট পুলিশ সঙ্গে সমন্বয় করে প্রশাসন কাজ করছে বলে জানালেন সিলেটের জেলা প্রশাসক।

দু’টি পাতার একটি কুড়ির সিলেট অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি। আবার তা পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হবেএমনটাই প্রত্যাশা সবার।