বন্যার পানিতে সিলেট-মৌলভীবাজারের অধিকাংশ হাট ডুবে থাকলেও শেষ মুহূর্তে গরুর দাম চড়া
- আপডেট সময় : ০৪:৩৯:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ জুলাই ২০২২
- / ১৫১৬ বার পড়া হয়েছে
সিলেট ও মৌলভীবাজারে এবার জমতে পারেনি কোরবানীর পশুর হাটগুলো। কিছু হাটে দেশী-বিদেশী কোরবানীর গরু উঠলেও বন্যার পানিতে এখনও অধিকাংশ হাট-বাজার ডুবে আছে। তবে দাম চড়া। এদিকে, ফরিদপুর জেলার সবচে বড় গরুর হাট- টেপাখোলা ও সিএন্ডবি ঘাটসহ বিভিন্ন স্থানের হাটগুলোতে প্রচুর গরু উঠেছে। শেষদিনে বেচাবিক্রিও ভালো।
সিলেট জেলা ও মহানগর পশুর হাটে এবার কোরবানি পশুর দাম চড়া। বন্যার কারণে, শুরুতে না জমলেও শেষ মুহূর্তে এসে ক্রেতা-বিক্রেতাদের দরকষাকষির পর বিক্রি হচ্ছে গরু ও ছাগল।
মৌলভীবাজারের সবচেয়ে বড় কোরবানির পশুর হাট বসেছে জেলা স্টেডিয়াম এলাকায়।
এ বছর মৌলভীবাজারে চাহিদার চেয়ে ২০ হাজার পশু ঘাটতি আছে। জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় বলছে, ঘাটতি মেটাতে বিভিন্ন জেলা থেকে গবাদিপশু নিয়ে আসা হয়। বন্যার কারণে পশুর হাট বসে বিলম্বে।
মহারাজা নামে একটি গরুর ওজন ২৫ মণ। খামারী দাম হাঁকেন ৭ লাখ টাকা।
ফরিদপুর জেলায় ছোট বড় মিলিয়ে ৩০টির মতো গরু-ছাগলের হাট রয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু ব্যাবসায়ীরা ট্রাকে করে গরু বিক্রির জন্য হাটে এনেছেন। বিশাল এলাকাজুড়ে থাকা এ হাটে বিপুল সংখ্যক গরু এনেছেন বিক্রেতারা।
এবারের হাটে পর্যাপ্ত পরিমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাট কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া জেলা পুলিশের তরফ থেকেও নানা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
জেলা প্রাণী সম্পদ অফিস বলছে, এবছর ফরিদপুর জেলায় কোরবানীর পশুর চাহিদা রয়েছে ৪১ হাজারের কিছু বেশি। তবে, কোরবানীর জন্য গরু-ছাগল মিলিয়ে ৫৩ হাজার ৮শ’ পশু লালন-পালন করা হয়েছে।