০৬:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

বছর ঘুরে আবারো এলো বাঙালির শোকের মাস আগস্ট

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৮:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ অগাস্ট ২০২১
  • / ১৫২৬ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বছর ঘুরে আবারো এলো বাঙালির শোকের মাস- আগস্ট। এ মাসেই সূচিত হয়েছিল জাতির ইতিহাসের মহা কলঙ্কিত অধ্যায়ের। স্বাধীনতার চেতনাকে সমূলে নিশ্চিহ্ন করতে বাঙ্গালীর অবিসংবাদিত নেতা ও বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। আর তারপরেই বাংলাদেশ হাঁটতে শুরু করে অন্ধকারের দিকে। গোটা জাতি ইতিহাসের সেই কালো অধ্যায়কে স্মরণ করছে গভীর শোকের সাথে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতির পিতার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। শিল্প, বাণিজ্য, বিজ্ঞান, অবকাঠামো , স্থানীয় সরকার বিনির্মান , কৃষি সব ক্ষেত্রেই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছিল নবীন রাষ্ট্র। সারাবিশ্বে স্বীকৃতি অর্জন করছিল জোড়ালো দাবিতে।

কিন্তু দেশের এই অগ্রাযাত্রা সহ্য হয়নি স্বাধীনতাবিরোধীদের। পাকিস্তানের দোসর, কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নীল নকশা করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার শত্রু, প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতকচক্রের হাতে বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক, বিশ্বের লাঞ্ছিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মহান নেতা, বাংলা ও বাঙালির হাজার বছরের নিরন্তর চিরন্তন উৎস, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন।

সেদিন ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম এই হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, জাতির জনকের জ্যেষ্ঠপুত্র মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, কনিষ্ঠপুত্র নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেল নৃশংসতার শিকার হন। বিদেশে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

খুনিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে ঘৃণ্য ইনডেমনিটি আইন জারি করে। দীর্ঘ ২১ বছর বাঙালি জাতি বিচারহীনতার কলঙ্ককের বোঝা বহন করতে বাধ্য হয়।

আবার এ শোকের মাসেই আরেকটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনার জন্ম হয়। ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়। ওই হামলার টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

এবার আগস্ট এলো এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে এবং করোনার প্রতিকুল পরিবেশে ৷ শোকের এ মাসকে যথাযথ মর্যাদায় ও শোকাবহ পরিবেশে পালন করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও গোটা জাতি।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বছর ঘুরে আবারো এলো বাঙালির শোকের মাস আগস্ট

আপডেট সময় : ০৯:৫৮:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ অগাস্ট ২০২১

বছর ঘুরে আবারো এলো বাঙালির শোকের মাস- আগস্ট। এ মাসেই সূচিত হয়েছিল জাতির ইতিহাসের মহা কলঙ্কিত অধ্যায়ের। স্বাধীনতার চেতনাকে সমূলে নিশ্চিহ্ন করতে বাঙ্গালীর অবিসংবাদিত নেতা ও বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। আর তারপরেই বাংলাদেশ হাঁটতে শুরু করে অন্ধকারের দিকে। গোটা জাতি ইতিহাসের সেই কালো অধ্যায়কে স্মরণ করছে গভীর শোকের সাথে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতির পিতার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। শিল্প, বাণিজ্য, বিজ্ঞান, অবকাঠামো , স্থানীয় সরকার বিনির্মান , কৃষি সব ক্ষেত্রেই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছিল নবীন রাষ্ট্র। সারাবিশ্বে স্বীকৃতি অর্জন করছিল জোড়ালো দাবিতে।

কিন্তু দেশের এই অগ্রাযাত্রা সহ্য হয়নি স্বাধীনতাবিরোধীদের। পাকিস্তানের দোসর, কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য ষড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নীল নকশা করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার শত্রু, প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতকচক্রের হাতে বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক, বিশ্বের লাঞ্ছিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মহান নেতা, বাংলা ও বাঙালির হাজার বছরের নিরন্তর চিরন্তন উৎস, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন।

সেদিন ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম এই হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, জাতির জনকের জ্যেষ্ঠপুত্র মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, কনিষ্ঠপুত্র নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেল নৃশংসতার শিকার হন। বিদেশে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

খুনিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে ঘৃণ্য ইনডেমনিটি আইন জারি করে। দীর্ঘ ২১ বছর বাঙালি জাতি বিচারহীনতার কলঙ্ককের বোঝা বহন করতে বাধ্য হয়।

আবার এ শোকের মাসেই আরেকটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনার জন্ম হয়। ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়। ওই হামলার টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

এবার আগস্ট এলো এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে এবং করোনার প্রতিকুল পরিবেশে ৷ শোকের এ মাসকে যথাযথ মর্যাদায় ও শোকাবহ পরিবেশে পালন করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও গোটা জাতি।