বঙ্গপোসাগারে সফলভাবে মিসাইল ফায়ার করেছে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী
- আপডেট সময় : ০৭:৫৩:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২০
- / ১৫১২ বার পড়া হয়েছে
বঙ্গপোসাগারে সফলভাবে মিসাইল ফায়ার করেছে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী। বুধবার বার্ষিক সমুদ্র মহড়ার চুড়ান্ত দিনে চট্টগ্রামের গভীর সাগরে পরপর দুটি মিসাইল ফায়ারসহ সমুদ্র সম্পদ ও নৌ-পথের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নৌবাহিনীর সদস্যদের নেয়া নানা কৌশল প্রদর্শন করেছে নৌবাহিনীর সদস্যরা। এসময় সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করতে সরকারের নেয়া পরিকল্পনার কথা জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান। নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরীর উপস্থিতিতে মহড়ার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন বিএন ফ্লিট কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান।
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বার্ষিক সমুদ্র মহড়ার সমাপনির চিত্র এটি। যুদ্ধ জাহাজ বঙ্গবন্ধুতে যখন অধির আগ্রহে বসে আছেন অতিথিরা। তখন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ‘দুর্জয়’ আর ‘দুর্দান্ত’ প্রস্তুতি নেয় মিসাইল ফায়ারের। ঘরির কাটায় দুপুর সাড়ে ১২টায় কাউন্টডাউন শুরু। শেষ হওয়ার সঙ্গে-সঙ্গে ধোঁয়ার কুন্ডুলী উরিয়ে ছুটে গেলো সারফেস টু সারফেস মিসাইল।দুই মিনিট পরই ঘোষণা করা হলো মিসাইল দুটি ১২ কিলোমিটার দুরের লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।
এছাড়া ডাকাতের কবলে পড়া জাহাজকে উদ্ধার, সমুদ্রের তলদেশে শত্রুপক্ষের সাবমেরিন ধ্বংসসহ সমুদ্রপথের নিরাপত্তাসহ দেশের সার্বভৌমত্ত রক্ষায় নিজেদের সক্ষমতা প্রদর্শন করে নৌবাহনীর সদস্যরা। ১৮ দিনব্যাপী এই মহড়ার সমাপনিতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। নৌবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীকে আরো আধুনিক ও শক্তিশালী করতে জানালেন বর্তমান সরকারের নানা পরিকল্পনা। চার ধাপে অনুষ্ঠিত মহড়ার বিশেষ দিকগুলো ছিলো নৌবহরের বিভিন্ন কলাকৌশল অনুশীলন, সমুদ্র এলাকায় পর্যবেক্ষণ, অনুসন্ধান, উদ্ধার অভিযান ও ল্যান্ডিং অপারেশন।