০৮:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

পুরোনো দোকান টিকিয়ে রাখতে গ্রামবাসীদের উদ্যোগ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৪:৫১:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩
  • / ১৫৩২ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্রেক্সিটের ধাক্কায় ওয়েলসের নিউপোর্টের প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো একটি হার্ডওয়্যার দোকান বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল৷ পরে শহরের প্রায় ৫০০ বাসিন্দা সেটির মালিনাকানা নিয়ে নেন৷ ফলে দোকানটি এখনও চালু আছে৷

নিউপোর্টে প্রায় এক হাজার মানুষ বাস করেন৷ ব্রেক্সিটের একবছর পর গ্রামের সবার জন্য একটি খারাপ খবর এসেছিল৷ হাভার্ডস বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল৷ সবাই বেশ অবাক হয়েছিলেন৷

গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘আমাদের সবার খুব খারাপ লেগেছিল৷ কারণ আমি এই শহরে আসারও অনেক, অনেক, অনেক বছর আগে থেকে হাভার্ডস এখানে আছে৷ এটা এখানকার একটা পুরনো, ঐতিহ্যবাহী দোকান৷ এটা বন্ধ হয়ে যাবে শুনে সবাই খুব, খুব, খুব কষ্ট পেয়েছিলেন৷’’

হাভার্ডসের কড়াই আর রান্নাঘরের তৈজসপত্র ছাড়া কেউ জীবন কল্পনা করতে চাননি৷ তাই নিউপোর্টের বাসিন্দারা নিজেরা মিলে প্রায় অর্ধমিলিয়ন পাউন্ড জোগাড় করে দোকানটির মালিকানা কিনে নিয়েছেন৷ এখন সেখানকার কর্মীরা স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে সহায়তা পান – যেমন সাবেক প্রকৌশলী ক্রিস মর্গান৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান৷ সব খরচ মেটানোর পর এবং শেয়ারহোল্ডারদের সামান্য লাভ দেয়ার পর লাভের পুরো টাকাটা কমিউনিটিতে ব্যয় করা হয়৷’’

হাভার্ডস দোকানটি টিকিয়ে রাখতে স্থানীয়রা সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন৷ যখন যেখানে প্রয়োজন স্বেচ্ছাসেবীরা এগিয়ে যান৷ কখনও তারা চাবি বানান৷ বা কিছুক্ষণের জন্য গল্প জুড়ে দেন৷

নিউপোর্টের প্রায় ৫০০ মানুষ এখন এই দোকানের মালিক৷ তারা হাভার্ডস টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন৷ পশ্চিম ওয়েলসের এই অঞ্চলটি প্রত্যন্ত৷ তরুণরা গ্রাম ছেড়ে যাচ্ছে৷ সবজায়গায় দোকান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে৷ ক্রিস টোমোস ঐ এলাকার উন্নয়নে কাজ করা একজন মানুষ৷ তিনি বলেন, ‘‘জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় ছোট অনেক দোকান টিকে থাকতে সংগ্রাম করছে, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে৷ খবরে আমরা প্রতিদিন দেখছি, ছোট দোকানগুলোর অবস্থা খারাপ৷ আমরা ৫০০ জন মিলে একটি কমিউনিটি দোকান পরিচালনা করে অন্য এলাকার মানুষদের তাদের দোকানগুলোর প্রতি সমর্থন জানাতে উৎসাহিত করছি৷’’

নিউপোর্টের মানুষদের উদ্যোগ কাজ করছে৷ এমনকি তারা ব্রিটিশ সরকারেরও মনোযোগ কাড়তে সমর্থ হয়েছেন৷ সরকার সেখানে একটি ক্যাফে চালুর জন্য সহায়তার পরিকল্পনা করছে৷

নিউপোর্টের মানুষের উদ্যোগে পরিচালিত হাভার্ডস দোকানটি অত্র এলাকার আশার প্রতীক হয়ে উঠেছে৷ কারণ ব্রেক্সিটের পর ঐ এলাকা সমস্যায় পড়েছে৷ স্থানীয়রা আশা করছেন, তাদের কমিউনিটি উদ্যোগ শুধু তাদের জন্যই ভালো হবে না, নিউপোর্টের পরবর্তী প্রজন্মও এ থেকে উপকৃত হবে৷

ডয়চে ভেলে

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

পুরোনো দোকান টিকিয়ে রাখতে গ্রামবাসীদের উদ্যোগ

আপডেট সময় : ০৪:৫১:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩

ব্রেক্সিটের ধাক্কায় ওয়েলসের নিউপোর্টের প্রায় দেড়শো বছরের পুরনো একটি হার্ডওয়্যার দোকান বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল৷ পরে শহরের প্রায় ৫০০ বাসিন্দা সেটির মালিনাকানা নিয়ে নেন৷ ফলে দোকানটি এখনও চালু আছে৷

নিউপোর্টে প্রায় এক হাজার মানুষ বাস করেন৷ ব্রেক্সিটের একবছর পর গ্রামের সবার জন্য একটি খারাপ খবর এসেছিল৷ হাভার্ডস বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল৷ সবাই বেশ অবাক হয়েছিলেন৷

গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘আমাদের সবার খুব খারাপ লেগেছিল৷ কারণ আমি এই শহরে আসারও অনেক, অনেক, অনেক বছর আগে থেকে হাভার্ডস এখানে আছে৷ এটা এখানকার একটা পুরনো, ঐতিহ্যবাহী দোকান৷ এটা বন্ধ হয়ে যাবে শুনে সবাই খুব, খুব, খুব কষ্ট পেয়েছিলেন৷’’

হাভার্ডসের কড়াই আর রান্নাঘরের তৈজসপত্র ছাড়া কেউ জীবন কল্পনা করতে চাননি৷ তাই নিউপোর্টের বাসিন্দারা নিজেরা মিলে প্রায় অর্ধমিলিয়ন পাউন্ড জোগাড় করে দোকানটির মালিকানা কিনে নিয়েছেন৷ এখন সেখানকার কর্মীরা স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে সহায়তা পান – যেমন সাবেক প্রকৌশলী ক্রিস মর্গান৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান৷ সব খরচ মেটানোর পর এবং শেয়ারহোল্ডারদের সামান্য লাভ দেয়ার পর লাভের পুরো টাকাটা কমিউনিটিতে ব্যয় করা হয়৷’’

হাভার্ডস দোকানটি টিকিয়ে রাখতে স্থানীয়রা সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন৷ যখন যেখানে প্রয়োজন স্বেচ্ছাসেবীরা এগিয়ে যান৷ কখনও তারা চাবি বানান৷ বা কিছুক্ষণের জন্য গল্প জুড়ে দেন৷

নিউপোর্টের প্রায় ৫০০ মানুষ এখন এই দোকানের মালিক৷ তারা হাভার্ডস টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন৷ পশ্চিম ওয়েলসের এই অঞ্চলটি প্রত্যন্ত৷ তরুণরা গ্রাম ছেড়ে যাচ্ছে৷ সবজায়গায় দোকান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে৷ ক্রিস টোমোস ঐ এলাকার উন্নয়নে কাজ করা একজন মানুষ৷ তিনি বলেন, ‘‘জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ায় ছোট অনেক দোকান টিকে থাকতে সংগ্রাম করছে, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে৷ খবরে আমরা প্রতিদিন দেখছি, ছোট দোকানগুলোর অবস্থা খারাপ৷ আমরা ৫০০ জন মিলে একটি কমিউনিটি দোকান পরিচালনা করে অন্য এলাকার মানুষদের তাদের দোকানগুলোর প্রতি সমর্থন জানাতে উৎসাহিত করছি৷’’

নিউপোর্টের মানুষদের উদ্যোগ কাজ করছে৷ এমনকি তারা ব্রিটিশ সরকারেরও মনোযোগ কাড়তে সমর্থ হয়েছেন৷ সরকার সেখানে একটি ক্যাফে চালুর জন্য সহায়তার পরিকল্পনা করছে৷

নিউপোর্টের মানুষের উদ্যোগে পরিচালিত হাভার্ডস দোকানটি অত্র এলাকার আশার প্রতীক হয়ে উঠেছে৷ কারণ ব্রেক্সিটের পর ঐ এলাকা সমস্যায় পড়েছে৷ স্থানীয়রা আশা করছেন, তাদের কমিউনিটি উদ্যোগ শুধু তাদের জন্যই ভালো হবে না, নিউপোর্টের পরবর্তী প্রজন্মও এ থেকে উপকৃত হবে৷

ডয়চে ভেলে