তিন হাজার ৯৫০ ম্যাট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ। পুজোর আগেই ভারতের বাজারে মিলবে পদ্মার ইলিশ।

বুধবার বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই কথা জানিয়েছে। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, মোট ৭৯ টি সংস্থাকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি সংস্থা সর্বোচ্চ ৫০ ম্যাট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে। বলা হয়েছে, যে কোনো সময় বাংলাদেশ এই অনুমতি তুলে নিতে পারে। সংস্থাগুলিকেও তখন রপ্তানি বন্ধ করে দিতে হবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মহম্মদ আবদুর রহিম খান বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ”ভারত আমাদের সবচেয়ে বন্ধু রাষ্ট্র। তারা আমাদের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য-বন্ধু। তাই প্রতি বছরের মতো এবারেও সে দেশে ইলিশ পাঠানোর নীতি নেওয়া হয়েছে। দুর্গাপুজো মাথায় রেখে এই সময়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

বস্তুত, ২০২২ সালে সেপ্টেম্বর মাসে ভারত সফরে এসেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে সময় ভারতে ইলিশ পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। এবারও প্রায় সেই কাছাকাছি সময়েই ইলিশ পাঠানো হচ্ছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অবশ্য জানিয়েছে, যে কোনো সময় প্রয়োজনে এই অনুমতি বাতিল করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে যে সংস্থাগুলিকে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তাদের তা মানতে হবে। একটি সংস্থা কোনোভাবেই ৫০ ম্যাট্রিক টনের বেশি ইলিশ সরবরাহ করতে পারবে না।

বাংলাদেশের বক্তব্য, এর ফলে দেশের বাজারে ইলিশের জোগানে টান পড়বে না। অন্যদিকে, ভারতের বাজারে ইলিশের চাহিদা বাড়ছে। বিশেষ করে কলকাতার বাজারে ঢাকার ইলিশ ঢোকার খবর খুশির জোয়ার নিয়ে এসেছে। কলকাতার বাজারে এখন যে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে তার দাম বারোশ থেকে চোদ্দোশ টাকা। পাতিপুকুর পাইকারি বাজারের এক বিক্রেতা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ”বাংলাদেশের ইলিশ ঢুকলে পশ্চিমবঙ্গের ইলিশের দাম একদিকে যেমন কমবে, তেমনই পদ্মার ইলিশের চাহিদা রাতারাতি বেড়ে যাবে।” বিক্রেতাদের অনুমান, পদ্মার ইলিশ আঠারোশ থেকে বাইশশ টাকার মধ্যে খোলা বাজারে বিক্রি হবে।

ডয়চে ভেলে