সিলেটে বন্যায় মানুষের সব কিছু কেড়ে নিয়েও পিছু ছাড়ছে না বন্যা
- আপডেট সময় : ০২:১৭:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০২২
- / ১৫১২ বার পড়া হয়েছে
সিলেটে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় মানুষের সব কিছু কেড়ে নিয়েও পিছু ছাড়ছে না বন্যা। বন্যার করাল গ্রাসে ঘরের ধান, ক্ষেতের ফসল, পুকুরের মাছ হারিয়ে লাখো মানুষ পথে বসেছে। সুরমা নদীর পানি কিছুটা কমলেও কুশিয়ারার পানি টানা দেড় মাস ধরে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় দুর্গতদের ঘরে ফেরা এখনো অনিশ্চিত। বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলছে।
অবিশ্বাস্য হলেও ছবির দৃশ্যগুলো সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা সদরের মাছ বাজার এলাকার। শুধু মাছ বাজার নয়, এমন দৃশ্য উপজেলা জুড়ে বাড়ি-ঘরে, হাটে, ঘাটে, বাজারে। পানিতে থৈ থৈ করছে।
কুশিয়ারা পাড়ে সিলেটের ৭ উপজেলার মানুষ এখনও পানিবন্দি। তলিয়ে আছে শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যেনো পানির উপর ভাসছে দোকান-পাট। কোমড় সমান পানি থাকায় খোলা যাচ্ছে না দোকান। কদিন ধরে দিনে প্রখর রোধ থাকলেও রাতে হানা দিচ্ছে বৃষ্টি আর ঝড়। সিলেটের এমন হাজারো বাড়ি-ঘর তলিয়ে থাকায়, আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষের দুর্বিসহ জীবণ কাটছে। বন্যার পানি হ্রাসের খবরে কমেছে সরকারি-বেসরকার ত্রাণ বিতরণ। এতে আশ্রয় কেন্দ্রে খা খা করছে মানুষ।
সিলেটের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে দ্রুত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃষ্টি হলে পানি বাড়বে– এমন খবরে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়েছে বানভাসিদের।
জন্ম ভিটা ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আসা বানভাসিরা কবে বাড়ি ফিরবেন তা ঠিক করে কেউ বলতে পারছে না। বন্যায় ভাসিয়ে নিয়েছে কারো ঘর, কারো শেষ সম্বল গবাদি পশু। পানি কমেছে এমন এলাকায় ভেসে উঠছে ধ্বংসস্তুপ। হাহাকার বাড়ছে মানুষের মধ্যে। বাড়ছে বেকারত্বও।
জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হচ্ছে পানিবন্দি মানুষের ঘরে। পানি পুরোপুরি না কমা পর্যন্ত ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে জানালেন সিলেটের জেলা প্রশাসক ।
মহাদুর্যোগ কাটিয়ে শিগগির স্বাভাবিক জীবণে ফিরবে সিলেট অঞ্চলের মানুষ এমন প্রত্যাশা সকলের।