পিকে হালদারের পালিয়ে যাওয়া নিয়ে হাইকোর্টে পরস্পর বিরোধী প্রতিবেদন দিয়েছে দুদক ও ইমিগ্রেশন পুলিশ
- আপডেট সময় : ০৯:১৩:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মার্চ ২০২১
- / ১৫০৭ বার পড়া হয়েছে
প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাত ও পাচার করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া পিকে হালদারের দেশত্যাগে কার দায় কতটুকু- তা নিয়ে হাইকোর্টে পরস্পর বিরোধী প্রতিবেদন দিয়েছে দুদক ও ইমিগ্রেশন পুলিশ। আইজিপির দপ্তর থেকে দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর পিকে হালদার ভারতে চলে যাওয়ার দু’ঘন্টা পরে দুদকের চিঠি ইমিগ্রেশনে পৌঁছায়। অথচ দুদকের আইনজীবী শুনানিতে দাবি করেন, পিকে হালদার দেশ ছাড়ার সাড়ে চার ঘন্টা আগেই চিঠি পাঠানো হয়। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হয়।
২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান- ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাত ও পাচারকারী প্রশান্ত কুমার ওরফে পিকে হালদার।
নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও চলতি বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ্যেই পিকে হালদারের পালিয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলে হাইকোর্ট। জানতে চায়- ওই সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ ও দুদকের তৎপরতা সম্পর্কে।
পিকের দেশত্যাগের সময় বেনাপোল ইমিগ্রেশনে কর্মরত ৫৭ কর্মকর্তার নামের তালিকা সোমবার হাইকোর্টে দাখিল করে আইজিপি’র দপ্তর। একই সাথে প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর বেনাপোল দিয়ে দুপুর তিনটা ৩৮ মিনিটে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যায় পিকে হালদার। অথচ ওইদিন বিকেল সাড়ে চারটায় দুদক পিকেসহ ২৪ জনের দেশত্যাগ রোধের চিঠি দেয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। যা ৫টা ৪৭ মিনিটে বেনাপোলে পৌছায়। এতে ইমিগ্রেশনের কোন গাফিলতি নেই বলে দাবি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর।
তবে এর বিরোধিতা করে দুদকের আইনজীবীর দাবী, পিকে হালদার পালিয়ে যাওয়ার সাড়ে চার ঘন্টা আগেই দেশত্যাগ রোধের চিঠি পাঠায় দুদক। তাই পিকের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দুদকের দায় নেই।
এদিন পিকের অর্থ পাচারের সময়কালে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩টি বিভাগে দায়িত্ব পালন করা ৩৫৪ জন কর্মকর্তার নামের তালিকাও আদালতে দাখিল করা হয়। তবে পিকে’র অর্থপাচারে কার কি সহযোগিতা রয়েছে তা চিহ্নিত করতে আদালতের কাছ থেকে আরো ৭ সপ্তাহ সময় নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।