০৪:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

পাকিস্তানে তিন দফার সফরের প্রথম পর্বটা কেমন হলো বাংলাদেশের

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৩:২৪:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২০
  • / ১৫০৬ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাকিস্তানে তিন দফার সফরের প্রথম পর্বটা কেমন হলো বাংলাদেশের। প্রাপ্তির খাতায় কি কিছু যোগ হলো? নাকি ভুলে যাওয়ার মতো এক অধ্যায় পার করলো টিম টাইগার্স। পাকিস্তানের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টি-টুয়েন্টি সিরিজে চোখ রাখলে সমালোচনাই বেশি ফুটে ওঠে।

গেলো অক্টোবরে এভাবেই পাকিস্তানকে মাটিতে নামিয়েছিলো শ্রীলংকা। তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিলো বাবর আজমরা। যেখানে কোনো বিভাগেই লঙ্কানদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি পাকিস্তান।

যে দলটা তিন মাস আগে এমন লজ্জার মুখে পরেছিলো, সে দলটার বিপক্ষেই কিনা ছন্নছাড়া টাইগাররা। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টিতে এমন অসহায় আত্মসর্ম্পন বাংলাদেশের। ব্যাটিং, বোলিং ফিল্ডি সব জায়গাতেই ব্যর্থ ডোমিঙ্গো বাহিনী।

দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের অবস্থা আরও নাজুক। প্রথম ম্যাচে যেখানে ১৪১ করেছিলো, দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ রান কম, অর্থাৎ স্কোরবোর্ডে ১৩৬ রান তোলে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ড বদলালেও ভাগ্য বদলায়নি টাইগারদের। হেরেছে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে।

সিরিজ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে যেখানে পাকিস্তানে গিয়েছিলা, উল্টো টানা হারে সেখানে হোয়াইটওয়াশের লজ্জার মুখে পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু, আশীর্বাদ হয়ে এলো বৃষ্টি। হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে বেঁচে গেলো বাংলাদেশ।

ক্রিকেট ম্যাচের ফল কোন দিকে যাবে, সেটা পরিষ্কার হয় ক্রিকেটারদের শরীরিভাষায়। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজে সব ছিলো; শুধু সেই আক্রমনাত্মক ভাষায়টাই ছিলো না। যেখানে ডট বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভুল।

সিরিজে ১০৪ রান নিয়ে যতটা উজ্জ্বল, স্ট্রাইকরেট বিতর্কে ততটাই বিবর্ণ তামিম ইকবাল। সেই সঙ্গে সমালোচনায় ৬ টপঅর্ডার নিয়ে একাদশ সাজানো। চুলছেড়া বিশ্লেষণ হয়েছে সৌম্য-মাহমুদউল্লাহদের লোয়ারঅর্ডারের ব্যাট করা নিয়েও। ব্যর্থতাই যার একমাত্র কারণ।

বোলিংয়েও পাকিস্তানিদের আধিপত্য। শাহীন আফ্রিদি ও হ্যারিস রউফদের সঙ্গে পাল্লা দিতে ব্যর্থ মোস্তাফিজরা। তবে, ৩ উইকেট নিয়ে সেরা শফিউল ইসলাম।

পাকিস্তান সিরিজে ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে অধিনায়ক, সবাই বারবার বলেছেন, ভুল থেকে শিক্ষা নিতে। এখন প্রশ্ন ৩৭ দিনে ৪৬ ম্যাচের বিপিএলও কি শেখাতে পারেনি আফিফ-সৌম্যদের।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পাকিস্তানে তিন দফার সফরের প্রথম পর্বটা কেমন হলো বাংলাদেশের

আপডেট সময় : ০৩:২৪:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২০

পাকিস্তানে তিন দফার সফরের প্রথম পর্বটা কেমন হলো বাংলাদেশের। প্রাপ্তির খাতায় কি কিছু যোগ হলো? নাকি ভুলে যাওয়ার মতো এক অধ্যায় পার করলো টিম টাইগার্স। পাকিস্তানের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টি-টুয়েন্টি সিরিজে চোখ রাখলে সমালোচনাই বেশি ফুটে ওঠে।

গেলো অক্টোবরে এভাবেই পাকিস্তানকে মাটিতে নামিয়েছিলো শ্রীলংকা। তিন ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিলো বাবর আজমরা। যেখানে কোনো বিভাগেই লঙ্কানদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি পাকিস্তান।

যে দলটা তিন মাস আগে এমন লজ্জার মুখে পরেছিলো, সে দলটার বিপক্ষেই কিনা ছন্নছাড়া টাইগাররা। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টুয়েন্টিতে এমন অসহায় আত্মসর্ম্পন বাংলাদেশের। ব্যাটিং, বোলিং ফিল্ডি সব জায়গাতেই ব্যর্থ ডোমিঙ্গো বাহিনী।

দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের অবস্থা আরও নাজুক। প্রথম ম্যাচে যেখানে ১৪১ করেছিলো, দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ রান কম, অর্থাৎ স্কোরবোর্ডে ১৩৬ রান তোলে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ড বদলালেও ভাগ্য বদলায়নি টাইগারদের। হেরেছে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে।

সিরিজ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে যেখানে পাকিস্তানে গিয়েছিলা, উল্টো টানা হারে সেখানে হোয়াইটওয়াশের লজ্জার মুখে পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু, আশীর্বাদ হয়ে এলো বৃষ্টি। হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে বেঁচে গেলো বাংলাদেশ।

ক্রিকেট ম্যাচের ফল কোন দিকে যাবে, সেটা পরিষ্কার হয় ক্রিকেটারদের শরীরিভাষায়। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি সিরিজে সব ছিলো; শুধু সেই আক্রমনাত্মক ভাষায়টাই ছিলো না। যেখানে ডট বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভুল।

সিরিজে ১০৪ রান নিয়ে যতটা উজ্জ্বল, স্ট্রাইকরেট বিতর্কে ততটাই বিবর্ণ তামিম ইকবাল। সেই সঙ্গে সমালোচনায় ৬ টপঅর্ডার নিয়ে একাদশ সাজানো। চুলছেড়া বিশ্লেষণ হয়েছে সৌম্য-মাহমুদউল্লাহদের লোয়ারঅর্ডারের ব্যাট করা নিয়েও। ব্যর্থতাই যার একমাত্র কারণ।

বোলিংয়েও পাকিস্তানিদের আধিপত্য। শাহীন আফ্রিদি ও হ্যারিস রউফদের সঙ্গে পাল্লা দিতে ব্যর্থ মোস্তাফিজরা। তবে, ৩ উইকেট নিয়ে সেরা শফিউল ইসলাম।

পাকিস্তান সিরিজে ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে অধিনায়ক, সবাই বারবার বলেছেন, ভুল থেকে শিক্ষা নিতে। এখন প্রশ্ন ৩৭ দিনে ৪৬ ম্যাচের বিপিএলও কি শেখাতে পারেনি আফিফ-সৌম্যদের।