সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা
- আপডেট সময় : ১২:০৭:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ জুলাই ২০২২
- / ১৫৫০ বার পড়া হয়েছে
সারাদেশে আজ উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। সকাল ৭টায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে। ঈদ জামাত থেকে দেশ ও জনগণ এবং মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আসেন। কয়েক স্তরের নিরাপত্তা অতিক্রম করে লম্বা লাইন ধরে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা। প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মিজানুর রহমান। পর্যায়ক্রমে আরও চারটি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে। ঈদের দ্বিতীয় জামাত শুরু হয় সকাল ৮টায়। সকাল ৯টায় শুরু হয় তৃতীয় জামাত। সকাল ১০টায় হবে চতুর্থ জামাত। আর পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাতটি অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়।
ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব-পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ জামাতের পর পশু কোরবানির মাধ্যমে নিজের পশুত্ব, ক্ষুদ্রতা, স্বার্থপরতা, হীনতা ও অহংকারের কোরবানি করাই এ দিনের আসল উদ্দ্যেশ। এই ত্যাগই-বয়ে আনবে কল্যাণ ও ভ্রাতৃত্ববোধ। করোনার কারণে দু’বছর সীমিত আকারে হলেও এবার বড় পরিসরে ঈদ উদযাপনে খুশি ধর্মপ্রাণ মুসলিম সমাজ।
মুসলিম উম্মাহর জাতির পিতা হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.) কে কুরবানি দেয়ার ইতিহাস থেকে শুরু হয় মুসলিম জাতির পশু কুরবানির ইবাদত।
শরীয়তের পরিভাষায়- নির্দিষ্ট জন্তুকে একমাত্র আল্লাহ পাকের নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট দিনে নির্ধারিত নিয়মে মহান আল্লাহর নামে জবেহ ও বন্টন করাই হলো কুরবানি।
ইসলামি বিশেষজ্ঞরা জানান, ত্যাগের মহিমায় কুরবানি আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের এক অনুপম ইবাদত।
কোরবানির পশুর মাংস নিজে খাওয়ার পাশাপাশি গরীব-দুঃখীদের মাঝে বিলিয়ে মহান আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের এক বিরাট সুযোগ।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ঈদুল আজহার দিন পশু কুরবানির চাইতে আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় আর কোন আমল নেই। তাই, যুগ যুগ ধরে মুসলিম উম্মাহর কাছে কুরবানি হয়ে আছে আত্মশুদ্ধি, ত্যাগ, সমতা ও আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের প্রতীক।