পণ্য কিংবা টাকা না পাওয়ার মিছিলে উদ্বিগ্ন গ্রাহকরা, নিশ্চুপ ইভ্যালি
- আপডেট সময় : ০৩:০৮:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১৫০৮ বার পড়া হয়েছে
বিশাল মূল্যছাড়ের অফার এবং শতভাগের বেশি ক্যাশব্যাকের প্রলোভন দেখিয়ে অল্প সময়ে গ্রাহকের মনকাড়ে ই-কমার্স প্লাটফর্ম- ইভ্যালি। কিন্তু গ্রাহকদের সময় মতো পণ্য বা রিফান্ড না দেয়ায় নানামুখি সমালোচনা এবং প্রশাসনের নজরে আসে প্রতিষ্ঠানটি। একই সাথে ইভ্যালি’র ব্যাংক এ্যাকাউন্ট জব্দ করায় গ্রাহকরা তাদের পণ্য পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। ই-কমার্স বিজনেস প্রতারনা রোধে সুনির্দিষ্ট নীতিমাল প্রন্নয়ন জরুরী বলে জানিয়েছেন সাবেক এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ। আর ই-কমার্স বিজনেসকে জবাব দিহিতার আওতায় আনার তাগিদ দেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
ই-কমার্স প্লাটফর্ম ইভ্যালি। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে। বিশাল মূল্য ছাড় ও শতভাগ বা তার চেয়েও বেশি লোভনীয় অফারে পণ্য বিক্রি করে কম সময়েই নজর কাড়ে ক্রেতাদের। দু’বছর না যেতেই নিবন্ধন করেন ৩৭ লাখ গ্রাহক। অতি অল্প সময়ে বুনে যান শিল্পপতি। প্রতারণার ফাঁদ হিসেবে মিডিয়ায় দেয়া শুরু করেন চটক চটক বাহারী বিজ্ঞাপন।
কিন্তু সময়ের সাথে সাথে পণ্যের মান ও প্রাপ্তি নিয়ে ভারী হতে থাকে অভিযোগের পাল্লা। প্রশ্ন ওঠে ইভ্যালি’র স্থায়ীত্ব নিয়েও। ইভ্যালির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তের অংশ হিসেবে কোম্পানির চেয়ারম্যান ও সিইওর ব্যাংক হিসাব জব্দ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারা যাতে বিদেশ পালিয়ে যেতে না পারে সে দিকেও নজর রাখছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
পণ্য কিংবা টাকা না পাওয়ার মিছিলে যখন উদ্ভিগ্ন গ্রাহকরা। তখন অনেকটাই নিশ্চুপ ইভ্যালি। যার কারণে ক্রেতাদের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও অনিশ্চয়তা।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মুঠোফোনে কয়েক দফা ফোন করে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে ইভ্যালির জনসংযোগ পরামর্শক শাওন সোলায়মান জানান, গ্রাহকদের অভিযোগ নিয়ে কাজ করছেন তারা।
এ বিষয়ে ই-কমার্স উত্ত্যগতাদের প্রতিক্রিয়া কি? সে বিষয়ে জানার চেস্টা করলেও ইতিবাচক সারা মেলেনি ই-ক্যাবের কাছ থেকে। তবে, প্রতারনা রোধে সুনির্দিষ্ট নীতিমাল প্রন্নয়নের দাবি সাবেক এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদের।
এদিকে, এই খাতকে বিকশিত করতে ই-কমার্স বিজনেসকে জবাব দিহিতার আওতায় আনার তাগিদ দেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
ডিজিটাল বাংলাদেশ নিশ্চিতের পাশাপাশি এই ই-কমার্স খাতকে সামনে এগিয়ে নিতে নীতি আর আইনী কাঠামো ঢেলে সাজানোর দাবি টিআইবি পরিচালকের।