০১:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

নড়াইলে চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ৯৮ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:৫১:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ অগাস্ট ২০২২
  • / ১৫১১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নড়াইলে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

দিনটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে শিল্পীর পুস্পমাল্য অর্পণ, মাজার জিয়ারত, দোয়া মাহফিল, চিত্রাংকন, রচনা প্রতিযোগিতা, আর্ট ক্যাম্প ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এসএম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইল শহরের মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোরের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। ১৯৮২ সালে ‘একুশে পদক’, ১৯৮৪ সালে ‘রেসিডেন্ট আর্টিস্ট’, ১৯৮৬ সালে ‘বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা’ এবং ১৯৯৩ সালে ‘স্বাধীনতা পদকে’ ভূষিত হন তিনি।


বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯২৪ সালের এই দিনে নড়াইলের মাছিমদিয়ায় রাজমিস্ত্রী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

বাবা মেছের আলী ও মা মাজু বিবি আদর করে তাঁর নাম রেখেছিলেন লাল মিয়া। অসাধারণ তুলির আঁচড়ে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি লাভ করে লাল মিয়া থেকে হয়ে ওঠেন শেখ মোহাম্মদ সুলতান বা এসএম সুলতান।

১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর মৃত্যুর পর তাঁর বাসভবন ঘিরে স্মৃতি সংগ্রহশালা ও শিশুস্বর্গ নির্মাণ করা হয়। প্রতিষ্ঠা করা হয় এসএম সুলতান বেঙ্গল চারুকলা মহাবিদ্যালয়।

এস এম সুলতানের রং তুলিতে সবসময়ই গ্রাম বাংলার খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষের জীবনচিত্র ফুটে উঠেছে। তাঁর আঁকা চিত্রকর্ম নিয়ে দেশ-বিদেশে অসংখ্য একক ও যৌথ প্রদর্শনী হয়েছে।

কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদকসহ অনেক সম্মানে ভূষিত হন এস এম সুলতান। ২০০৩ সালে তাঁর বাসভবনকে ঘিরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্মৃতি সংগ্রহশালা ও শিশুস্বর্গ নির্মাণ করা হয়।

এরপর থেকেই দেশ-বিদেশি পর্যটক তাঁর চিত্রকর্ম দেখতে ভীড় করেন। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার দর্শনার্থীদের পদচারণায় স্মৃতি সংগ্রহশালা আরও মুখর হতে থাকে।

সুলতানের আঁকা দুলর্ভ ছবি থেকে শিক্ষা গ্রহণ ও তাঁর জীবন দর্শন সম্পর্কে জানতে দেশের বিভিন্ন চারু ও কারুকলা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছুটে আসেন সংগ্রহশালায়।

করোনাকালে দর্শনার্থীদের পদচারণা কম থাকলেও পদ্মা সেতু চালু ও রাস্তাঘাট উন্নয়ন হওয়ায় দর্শনার্থীদের ভীড় বেড়েছে বলে জানালেন, সংগ্রহশালার কিউরেটর তন্দ্রা মুখার্জী।

পরিদর্শনে এসে দর্শনার্থীরা যাতে আত্মতৃপ্তি পান, সে ব্যাপারে নানা উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানালেন নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

এসএম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালাকে ঘিরে ইতিহাস-ঐতিহ্য, শিল্প ও সংস্কৃতির উর্বরভূমি নড়াইল জেলা পর্যটন জেলায় রূপ নেবে এমনটাই প্রত্যাশা সুলতান প্রেমীদের।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নড়াইলে চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ৯৮ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে

আপডেট সময় : ০২:৫১:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ অগাস্ট ২০২২

নড়াইলে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

দিনটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে শিল্পীর পুস্পমাল্য অর্পণ, মাজার জিয়ারত, দোয়া মাহফিল, চিত্রাংকন, রচনা প্রতিযোগিতা, আর্ট ক্যাম্প ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এসএম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইল শহরের মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোরের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। ১৯৮২ সালে ‘একুশে পদক’, ১৯৮৪ সালে ‘রেসিডেন্ট আর্টিস্ট’, ১৯৮৬ সালে ‘বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা’ এবং ১৯৯৩ সালে ‘স্বাধীনতা পদকে’ ভূষিত হন তিনি।


বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯২৪ সালের এই দিনে নড়াইলের মাছিমদিয়ায় রাজমিস্ত্রী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

বাবা মেছের আলী ও মা মাজু বিবি আদর করে তাঁর নাম রেখেছিলেন লাল মিয়া। অসাধারণ তুলির আঁচড়ে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি লাভ করে লাল মিয়া থেকে হয়ে ওঠেন শেখ মোহাম্মদ সুলতান বা এসএম সুলতান।

১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর মৃত্যুর পর তাঁর বাসভবন ঘিরে স্মৃতি সংগ্রহশালা ও শিশুস্বর্গ নির্মাণ করা হয়। প্রতিষ্ঠা করা হয় এসএম সুলতান বেঙ্গল চারুকলা মহাবিদ্যালয়।

এস এম সুলতানের রং তুলিতে সবসময়ই গ্রাম বাংলার খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষের জীবনচিত্র ফুটে উঠেছে। তাঁর আঁকা চিত্রকর্ম নিয়ে দেশ-বিদেশে অসংখ্য একক ও যৌথ প্রদর্শনী হয়েছে।

কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদকসহ অনেক সম্মানে ভূষিত হন এস এম সুলতান। ২০০৩ সালে তাঁর বাসভবনকে ঘিরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্মৃতি সংগ্রহশালা ও শিশুস্বর্গ নির্মাণ করা হয়।

এরপর থেকেই দেশ-বিদেশি পর্যটক তাঁর চিত্রকর্ম দেখতে ভীড় করেন। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার দর্শনার্থীদের পদচারণায় স্মৃতি সংগ্রহশালা আরও মুখর হতে থাকে।

সুলতানের আঁকা দুলর্ভ ছবি থেকে শিক্ষা গ্রহণ ও তাঁর জীবন দর্শন সম্পর্কে জানতে দেশের বিভিন্ন চারু ও কারুকলা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছুটে আসেন সংগ্রহশালায়।

করোনাকালে দর্শনার্থীদের পদচারণা কম থাকলেও পদ্মা সেতু চালু ও রাস্তাঘাট উন্নয়ন হওয়ায় দর্শনার্থীদের ভীড় বেড়েছে বলে জানালেন, সংগ্রহশালার কিউরেটর তন্দ্রা মুখার্জী।

পরিদর্শনে এসে দর্শনার্থীরা যাতে আত্মতৃপ্তি পান, সে ব্যাপারে নানা উদ্যোগ গ্রহণের কথা জানালেন নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

এসএম সুলতান স্মৃতি সংগ্রহশালাকে ঘিরে ইতিহাস-ঐতিহ্য, শিল্প ও সংস্কৃতির উর্বরভূমি নড়াইল জেলা পর্যটন জেলায় রূপ নেবে এমনটাই প্রত্যাশা সুলতান প্রেমীদের।